ছবি- সংগৃহীত
এক সময়ে শিশুদের তেল মাখিয়ে রোদে রাখা হতো। সূর্যের ভিটামিন ডি শিশুদের হাড়ের জোর বাড়ায়। এছাড়া রোদ ত্বকেরও উপকার করে।
ত্বক বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনের মতে, সরিষার তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সরিষার তেল খাঁটি হতে হবে। ত্বকই নয়, হৃৎপিণ্ড, পেশিসহ হাজারো সমস্যার সমাধানে সরিষার তেলের বিকল্প নেই। আসুন জেনে নেই সরিষার তেলে যেসব উপকার হয়-
১. ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ১০ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ঘুমোতে গেলে ত্বক যেমন নরম থাকবে, তেমনই উজ্জ্বল হবে।
২. ত্বকে ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি রিংকল কমাতে সাহায্য করে।
৪. অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নিলে তা সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। তবে বেশি তেল মাখিয়ে যাবেন না। বেশি মাখলে ধুলোবালি ধরে রাখে ত্বক।
৫. সরিষার তেল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
৬. ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ঠাণ্ডা-কাশি ভালো করে সরিষার তেল। ঠাণ্ডা ভালো করতে গায়ে ও বুকে মাখতে পারেন সরিষার তেল। এ ছাড়া কালো জিরার সঙ্গে সরিষার তেল মাখলে বেশি উপকার পাবেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আরকে/জেইউ