ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে প্রায় সবার বাড়িতেই সকালে গরম ভাত কিংবা রুটি-পরোটা দিয়ে নাস্তার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু অতীতে ছিলো সকাল বেলা মানে পান্তা ভাত, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের পরিবারে। এ ভাতের সাথে থাকে একটু লবণ, শুকনা মরিচ পোড়া অথবা কাঁচা মরিচ এবং পেঁয়াজ। এখনও গ্রামাঞ্চলে এই পান্তার প্রচলন রয়েছে।
তবে শহরাঞ্চলে বিশেষ দিন ছাড়া এই খাবারের প্রচলন নেই বললেই চলে। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনের যাবতীয় শক্তি নাকি পান্তায় রয়েছে। তাদের দাবি, শরীর চর্চা না করেও পান্তা ভাত খেয়ে বলিষ্ঠ শরীর আর উজ্জ্বল ত্বক, চুলের অধিকারী হতে পারেন যে কেউ।
সম্প্রতি ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক পরীক্ষা করে দেখেছেন, ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম আয়রন তৈরি হয়। সেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে আয়রন থাকে মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়া ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে পটাশিয়াম বেড়ে হয় ৮৩৯ মিলিগ্রাম এবং ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম। যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম।
এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় ৩০৩ মিলিগ্রাম। সেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ ৪৭৫ মিলিগ্রাম। আমেরিকা নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশন-এর গবেষণা বলছে, ভাত জলে ভিজিয়ে রাখলে পাকস্থলী প্যানক্রিয়াটিক অ্যামাইলেজসহ আরও কিছু এনজাইমের কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
ফলে পান্তা ভাতের জটিল শর্করাগুলো খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। এছাড়া পান্তা ভাত ভিটামিন বি-৬ ও ভিটামিন-১২ এর ভালো উৎস। এছাড়া দেহের বহু উপকারী ব্যকটেরিয়া পান্তা ভাতে তৈরি হয়।
উপকারিতা:
১. পেটের সমস্যার সমাধান। ২. কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয়। ৩. শরীর সতেজ থাকে। ৪. পাশাপাশি শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। ৫. রক্ত চাপ স্বাভাবিক থাকে। ৬. হার্ট সুস্থ থাকে।
এএইচ/জেইউ