ফাইল ছবি
প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক লাকী আখান্দকে হারানোর চার বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি চির বিদায় নেন। দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। লাকী আখান্দের জন্ম ১৯৫৬ সালে।
লাকী আখান্দ চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি। যে সৃষ্টি আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। দীর্ঘ সংগীতজীবনে গুণী এ শিল্পী অগণিত জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তাঁর নিজের গাওয়া গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘হৃদয় আমার’ প্রভৃতি। অন্য শিল্পীর জন্য করা জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ (কুমার বিশ্বজিৎ), ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ (সামিনা চৌধুরী), ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ (হ্যাপী আখন্দ) ‘লিখতে পারি না কোনো গান’ (জেমস), ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ (জেমস) প্রভৃতি।
৫ বছর বয়সেই তিনি বাবার কাছ থেকে সংগীতে নিয়েছেন হাতেখড়ি। লাকী ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। সর্বশেষ, তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লাকী আখান্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকি আখান্দ’ ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রকাশ পায়।
এএইচ/জেইউ