ছবি: বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কিছু অংশে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে শীতকালীন ঝড়। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) এ ঝড়ে ভারী তুষারপাত ঘটে। ঝড়ের জন্য কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের কিছু শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভার্জিনিয়া, জর্জিয়া এবং নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
ইউএস ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) রবিবার জানিয়েছে, ঝড়টি পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে দেশের পূর্বদিকের এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে আঘাত হানবে। কোন কোন এলাকায় একফুট পর্যন্ত (৩০ সেন্টিমিটার) তুষারপাত হতে পারে।
বিশাল ঝড়টি মধ্য-পশ্চিম (মিডওয়েস্ট) অঞ্চল থেকে পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসছে। ভারী তুষারপাত এবং জমে যাওয়া বরফের কারণে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে দিয়েছে।
নিউইয়র্ক শহর এবং কানেটিকাটের কিছু কিছু অংশসহ কোন কোন এলাকায় সম্ভাব্য উপকূলীয় বন্যার পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে, কানাডার আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া অন্টারিও প্রদেশে স্থানীয় সময় রবিবার সকালে দক্ষিণের বেশিরভাগ অংশের জন্য ঝড়ের সতর্কতা জারি করে। সেখানে স্থানীয় সময় রবিবার দিনের পরের ভাগে তুষারপাত শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। প্রদেশের রাজধানী এবং কানাডার বৃহত্তম শহর টরন্টোতে সাত ইঞ্চি (২০ সেমি) তুষারপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে চরম আবহাওয়ার কারণে রবিবার সকালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো কমপক্ষে ২৪ শ’ ফ্লাইট বাতিল করে।
উত্তর ক্যারোলাইনার শার্লট ডগলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইটসূচি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার প্রায় ৯০% ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়।
ওয়েবসাইটে দেয়া এক বার্তায় যাত্রীদের বিমানবন্দরটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের এয়ারলাইনের ফ্লাইটের বিষয়ে খোঁজ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এএইচ