ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরীক্ষায় বসতে পারবে জাবি ছাত্রী সুমাইয়া-মীম : হাইকোর্ট

পরীক্ষায় বসতে পারবে জাবি ছাত্রী সুমাইয়া-মীম : হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

হাসান সজীব, জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিনিয়র ছাত্রকে 'শারীরিক লাঞ্ছনার' অভিযোগে ৪৬ ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া বিনতে ইকরাম এবং আনিকা তাবাসসুম মিমের বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে 'রুল নিশি' জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা ও নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে তারা। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আপিলের আবেদনও (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত।

সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও আনিকা তাবাসসুম মিম কর্তৃক দায়েরকৃত রিটের প্রেক্ষিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি (রবিবার)  হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ 'রুল নিশি' জারি করেন।

সেখানে ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক 'শুনানি না করে' ও 'কারণ দর্শানোর নোটিস' ছাড়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে ইকরামকে  (পিটিশনার-১) এক বছরের জন্য এবং আনিকা তাবাসসুম মিমকে (পিটিশনার-২) ছয়মাসের জন্য  বহিস্কারের আদেশকে হাইকোর্ট কেন 'বেআইনী' বা 'কোন আইনী কর্তৃত্ত্ব রাখতে পারে না'-ঘোষণা করবে না- তা আগামী চার সপ্তাহের (২০ মার্চ, ২০২২) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়। 

সেই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে রিট আবেদনকারীদের নিয়মিতভাবে তাদের পড়াশুনা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এবং আসন্ন পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের ফলাফল অপ্রকাশিত রাখা যাবে। 

পরে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। ০২ মার্চ, সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে 'নো অর্ডার' -এর আদেশ দেন। অর্থাৎ, আপিলের আবেদনকে খারিজ করে দেন এবং হাইকোর্টের আদেশকে সমর্থন করেন। 

এ সম্পর্কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এমন কোন কোর্ট অর্ডার আমার হাতে আসে নি এবং পুরো ব্যাপারটায় আমি অবগত নই। আগামী রবিবার কোর্ট অর্ডার হাতে এলে হয়তো বলতে পারব৷’

এ ব্যাপারে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, `এখন ঐ ব্যাচের (৪৬) কোন ক্লাস চলছে না। দুটো পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় আগামী ছয় তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশের প্রতি আমরা সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল। এর আগে সংক্ষুব্ধ ছাত্রীরা আমাদের একটি কপি দেয়। সেটা অফিসিয়ালি গ্রহণ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। বিশ্ববিদ্যালয় এটা দেখবে এবং বিভাগকে নির্দেশ দিবে। তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আপিল করতে যাচ্ছেন- এটা আমাকে মৌখিকভাবে বলা হয়। সেই আপিল খারিজ করা হলে আইনত তাদের পরীক্ষায় বসতে কোন বাধা নেই। এ ব্যাপারে আমি রেজিস্ট্রারকে জানাবো।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোনে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয় নি। তৃতীয়বারের চেষ্টায় কল কেটে দেন তিনি।

এমএস