ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ | ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

মাত্র ২১ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। জীবনের এই স্বল্প সময়ে তিনি তার সৃষ্টির জন্য আজও ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। 

 জন্মলগ্ন থেকেই তিনি দ্রোহের আগুন নিয়ে বেড়ে ওঠেন। তার কবিতা ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ, বঞ্চনা আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।  আগুন ঝরা কবিতা দিয়ে তিনি আজও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় এবং শক্তিমান কবি হিসেবে পরিচিত।

প্রতিবাদী এই কবির ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে কলকাতায় যাদবপুর টিবি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। 

তার জন্ম ১৯২৬ সালের ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার কালীঘাটে মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়িতে। বাবা নিবারণ ভট্টাচার্য। মা সুনীতি দেবী। ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও কবির আদি নিবাস গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে।

রবীন্দ্র-নজরুল বলয়ের ভেতরেই যখন বাংলা সাহিত্য আবর্তিত, সেই সময় দ্রোহের আগুন নিয়ে আবির্ভাব ঘটে  কবি কিশোর সুকান্তের। স্কুলছাত্র অবস্থাতেই তিনি জড়িয়ে পড়েন মার্ক্সবাদী ধারার রাজনীতির সঙ্গে। কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতা র (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’র সম্পাদনাও করতেন কবি সুকান্ত।  সুকান্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পীসঙ্ঘের পক্ষে আকাল (১৯৪৪) নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন। 

কবির সাহিত্যকর্মের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য - ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে ‘সুকান্ত সমগ্র’ নামে তার রচনাবলি প্রকাশিত হয়। 

এএইচ