ফাইল ছবি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দুপুর ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দলটির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে হবে আলোচনা সভা। এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি শ্রমিক দল, ২২ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা দল, ২৩ জানুয়ারি কৃষক দল, ২৪ জানুয়ারি যুবদল, ২৬ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দল আলোচনা সভা করবে। এ ছাড়া ২০ জানুয়ারি জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।
দিবসটি উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে গতকাল দিনব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও ছিন্নমূল পথশিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি দল ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পোস্টার ও ব্যানার ছাপানো হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জিত করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের ডাকনাম কমল। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন ছাড়াও মুক্তিবাহিনীর ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসা জিয়া পরে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠন করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন তিনি। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন।
জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এএইচ