ছবি: গ্লোবাল টিভি
মোঃ রাজিবুল হাসান জুয়েল, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। নিয়মিত গ্যাস না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক গ্যাস না পেয়েও বিল গুনছেন। বিকল্প ব্যবস্থায় রান্নাবান্না করতে চলছে নানা চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে ঘরে ঘরে গৃহিণীদের ক্ষোভের যেন শেষ নেই।
মুন্সিগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকা থেকে মানিকপুর আলু গবেষণা কেন্দ্র অফিস পর্যন্ত লাইনে কোন গ্যাস নেই । বন্ধ রয়েছে গ্যাস সংযোগ। অন্যদিকে পৌরসভাধীন গনকপাড়া, কোর্টগাঁও, দক্ষিণ ইসলামপুর, উত্তর ইসলামপুর, খালইস্ট, জমিদারপাড়া, মালপাড়া, ইদ্রাকপুর, গোয়ালপাড়া, বাগমামুদালী পাড়া, দেওভোগ, এবং শহরের বাহিরে মিরকাদিম, রামপাল, সিপাহীপাড়া, মুক্তাপুরে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্যাস সংকটের কারণে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন শহরসহ আশপাশের হাজারো পরিবার। তারা দিন দিন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সুপার মার্কেট এলাকার বাসিন্দা ইয়াসমিন বেগম বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমাদের লাইনের গ্যাস পাচ্ছি না। এতে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। বাধ্য হয়ে মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে হচ্ছে।
আজ রবিবার সকালে সরজমিনে গনকপাড়ার বাসিন্দা শরিফ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, লাইনের গ্যাস না পেয়েও বিল দিচ্ছি মাসে মাসে। আবার বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাস কিনে রান্না করছি এতে অতিরিক্ত টাকা খরচ গুনতে হচ্ছে। তাই আমরা পরেছি এখন মহাবিপদে। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক।
মুন্সিগঞ্জ তিতাস গ্যাস লিমিটেডের ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। গ্যাসের চাপ ১০ পিএসআই থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে আড়াই। ৭১ লাখ ঘনমিটারের বিপরীতে প্রতি মাসে প্রায় ৩৫ লাখ ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। আর সে কারণেই জেলা শহর মুন্সীগঞ্জের প্রায় ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক গ্যাস পাচ্ছেন না।
এএইচ