ছবি: গ্লোবাল টিভি
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু কিশোর দিবসে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ কমপক্ষে ১৫-২০ নেতাকর্মী ও সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
আশংকাজনক অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ কয়েক নেতাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের নেতা অরিবিন্ধু জানান, দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্ব একটি আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তাদের মিছিলে বাধা দো হ য়। একপর্যায়ে দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি, দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল আলাদা আলাদা কর্মসূচীর ঘোষণা করেন।
এ নিযে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বাউফলের ইউএনও জানান, দুই পক্ষকেই সহঅবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।