ছবি: গ্লোবাল টিভি
মোঃ অনিক আহাম্মদ, ভোলা: ভোলা দৌলতখান উপজেলার ৩ নং চরপাতা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চলছে উপনির্বাচন। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও মনোনয়ন প্রত্যাহর করে নেন আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী। ফলে প্রাথী রয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে নৌকার ২ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন। প্রার্থীরা হলেন- দৌলতখান উপজেলা থানা আওয়ামী লীগের অর্থ-সম্পাদক, আব্দুল হাই (নৌকা) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (মোটর সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন শামীম এবং ওই ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের নাজিম উদ্দিন হাওলাদার নাজু, তার ছেলে চশমা প্রতীকের লোকমান হোসেন বাবু ও ইশা আন্দোলনের হাত পাখা প্রতীকের মোঃ আবু সাইদ।
উপ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে প্রচার-প্রচারণা। নৌকার প্রার্থী মাঠ চষে বেড়ালেও নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোটারদের অনেকেই বলছেন,নৌকার প্রার্থী মাঠে, আর স্বতন্ত্র (আনারস) প্রার্থী ভোটে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই তার বহর নিয়ে গণসংযোগ করছেন। এ সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থী নাজিমুদ্দিন হাওলাদারের বাড়ীর চতুর্দিকের রাস্তায় ১০/১২টি হোন্ডা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা। এর ফলে এক ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। প্রতিদ্বন্দী প্রাথীরা মাঠে না থাকায় একরকম ঝিমিয়ে পড়েছে নির্বাচন।
অভিযোগ করা হচ্ছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনারসের পোস্টার লাগাতে দেয়া হয় না। প্রতিনিয়ত রাস্তায় রাস্তায় লাঠি ও রড নিয়ে হোন্ডা মহড়া দিচ্ছে নৌকার প্রার্থীর বহিরাগত কর্মীরা। হুমকী- ধামকী দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে ভোটারদের। স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। দখল করে নেয়া হয়েছে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প। এর ফলে এক ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করার অভিযোগ দৌলতখান ৩ নং চরপাতা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন সমন্বয়ক কামাল হোসেন হাওলাদারের।
ইতিমধ্যেই প্রচারণায় নেমে হামলা, মারধর ও মোবাইলসহ টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে খালেদা আক্তার মুন্নী ও তার ছেলেসহ মহিলা কর্মীরা।
অপরদিকে, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন শামীম স্থানীয় সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন।