ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ | ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

কলাপাড়ায় চিকিৎসা সহকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

কলাপাড়ায় চিকিৎসা সহকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি: গ্লোবাল টিভি

মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সহকারী সুবীর কুমার পালের বিরুদ্ধে বিসিএস না হয়েও জন্ম তারিখ নির্ধারণী প্রত্যয়নপত্র সত্যায়িত করাসহ নানা অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

জানা যায়,মহিপুরের নজীবপুর গ্রামের রাবেয়া বসরী নামের এক নারীর জন্মতারিখ নির্ধারণীর প্রত্যয়নপত্র তিনি সত্যায়িত করেছেন। যা তার এখতিয়ার ভুক্ত নয়। তাছাড়া এমবিবিএস না হয়েও নামের ডাক্তার লেখা, হাসপাতালে এমবিবিএস ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও আলাদা চেম্বারে রোগী দেখা, রোগীদের কাছ থেকে একশত টাকা ভিজিট নেয়া এবং অপ্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, সামান্য জ্বর হলেই রোগীদের  বিশেষ ইনজেকশন লিখে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সুবীর কুমারের বিরুদ্ধে।


ঔষধ কম্পানিদের থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে মানহীন ঔষধ প্রেসক্রাইভ করা,ক্লিনিক থেকে মোটা অংকের কমিশন গ্রহন করে রোগীদের তাদের চেম্বারে পাঠানো এবং যারা তাকে চাহিদা অনুযায়ী কমিশন দেয়না তাদের ক্লিনিকে রোগী না পাঠানো,হাসপাতালের পুকুর লিজ দিয়ে অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগও পাওয়া গেছে।

তাছাড়া চিকিৎসা সহকারী হয়ে অঢেল সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ উঠেছে সুবীর কুমারের বিরুদ্ধে। কেউ কেউ বলছেন, তার নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে রয়েছে তার ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ফ্লাট, বরিশালে রয়েছে প্লট। মহিপুরে ভাড়া থাকেন মাসে ১০ হাজার টাকার ফ্লাটে, চড়ের দামি বাইকেও। হাসপাতালের সরকারি যে কক্ষে তিনি থাকতেন পরিবার নিয়ে, সেখানে টাইলস লাগিয়ে অবকাঠামো পরিবর্তনেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অনেকে বলছেন, দীর্ঘ ৭ বছর উপরস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তিনি এক জায়গায় এতো বছর রয়েছেন এবং এক তরফা আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

মহিপুরের নজীবপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল ঘরামী জানান, দুই বছরের জন্য সুবীর বাবুর কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকায় হাসপাতালের পুকুর লিজ নেয় সে এবং তার সহযোগী ইকবাল। তাছাড়া তাদের সাথে ব্যবসায়ও ভাগিদার হিসেবে রগেছেন সুবীর কুমার দাস।

মহিপুর বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন দুলাল বলেন, সুবীর কুমার পালের অনিয়ম জেনেও জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলার কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাকে বহাল তবিয়তে থাকতে সহযোগিতা করছে। 

অভিযুক্ত সুবীর কুমার পাল বলেন, আমি ভুল বশত জন্ম তারিখ নির্ধারণী ফর্মে স্বাক্ষর করেছি, যা আমার এখতিয়ারে নেই। 

অন্য সকল অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন এবং সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় বলেন, তাকে শোকোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. কবীর  হোসেন বলে,ন অফিসিয়ালভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।