ঢাকা, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ | ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজ বাইশে শ্রাবণ

আজ বাইশে শ্রাবণ

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২ তম মৃত্যুদিবস। তিনি বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। বহু প্রতিভার অধিকারী এই কবি তার প্রতিভার আলোয় সাহিত্য-সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছিলেন বিশ্ব দরবারে। পেয়েছিলেন বিশ্বকবির সম্মান। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা সনের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী। বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি।

একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ ও চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে শৈশবেই। মাত্র আট বছর বয়সে তার লেখালেখির হাতেখড়ি। ১৮৭৪ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়। এরপর এই লেখালেখি চলে বিরামহীন।

১৮৭৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’ প্রকাশিত হয়। সেসময় থেকেই কবির লেখা দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হতে থাকে। উপন্যাস, নাটক, সংগীত, প্রবন্ধ, চিত্রকলা বা দর্শন—বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে বিচরণ করেননি রবীন্দ্রনাথ। 

১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। 

তার প্রকাশিত কবিতার বই ৫২টি, উপন্যাস ১৩টি, ছোটগল্পের বই ৯৫টি, প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ ৩৬টি এবং নাটকের বই ৩৮টি। কবির মৃত্যুর পর ৩৬ খণ্ডে 'রবীন্দ্র রচনাবলী' প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া, ১৯ খণ্ডের রয়েছে 'রবীন্দ্র চিঠিপত্র'।

জমিদার পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি জমিদারিও করেছেন। 

তিনি ১৮৯১ সাল থেকে বাবার আদেশে কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর ও ওড়িশায় তাদের জমিদারি দেখাশোনা করেন। সেখানকার পৈতৃক 'কুঠিবাড়িতে' তিনি অসংখ্য কবিতা ও গান রচনা করেন। পাশাপাশি তিনি ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯০১ সালে কবি কুষ্টিয়ার শিলাইদহ থেকে সপরিবারে বোলপুরে শান্তিনিকেতনে চলে যান। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য ‘শ্রীনিকেতন’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন '‘বিশ্বভারতী’।

তিনি ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত পাঁচটি মহাদেশের ৩০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন।

রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন দুই হাজারের বেশি গান। অধিকাংশ গানের সুরারোপর তারই। ‘গীতবিতান’তার সমগ্র গানের গ্রন্থ।