ছবি: গ্লোবাল টিভি
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে জলাশয় ও খাল ভরাট করে দখল এবং অবৈধ স্থাপনা তৈরি করার অভিযোগে একটি হাউজিং কম্পানিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ সময় অভিযানে গিয়ে হাউজিং প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বাধা ও তোপের মুখে পড়েন রাজউক কর্তৃপক্ষের লোকজন। এক পর্যায়ে বাগবিতণ্ডা শুরু করে রাজউক কর্মকর্তাদের ওউপর চড়াও হন দখলদাররা। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাদের সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বুধবার সাভারের হেমায়েতপুরের জমজম নুর সিটি নামে হাউজিংয়ে এ অভিযান পরিচালনার নেতৃত্ব দেন রাজউকের জোন-৮-এর পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (উপসচিব) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: আব্বাস জানান, অভিযানের শেষ হয়ে গেলে নুর সিটির লোকজন আবারো দখলে মেতে উঠবে। এর আগেও তারা এমনটাই করেছে।
এ সময় অভিযানে হাউজিং কম্পানির অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। জলাশয় ও খাল থেকে বালু সরিয়ে নিতে হাউজিং কম্পানিকে সময় বেঁধে দেন ম্যাজিস্ট্রেট। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণা করেন রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অনুমোদবিহীনভাবে হাউজিং কম্পানিটি গড়ে ওঠে। তারা জলাশয় ও খাল দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট বিক্রি শুরু করে, যা আইনত অবৈধ এবং অপরাধ। আমরা আজ অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। আমরা জলাশয় এবং খালের কিছু বালু সরিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া তাদের সময় দিয়েছি, যেন খাল-জলাশয় থেকে বালু সরিয়ে নেয়। নির্দেশনা না মানলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
রাজউকের উপ নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযানে গিয়ে হাউজিং প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট লোকজনের বাধার মুখে পড়ি। পুলিশের সহযোগিতায় পরিবেশ স্বাভাবিক হয়। পরে হাউজিং প্রতিষ্ঠানের মালিক নুর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি এই প্রকল্পে অনুমোদনবিহীন ভবন তৈরির অভিযোগে মাসুদ পারভেজ নামের আরো এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করে রাজউক।
এ সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবিল আয়ামসহ সংশ্লিষ্ট অফিসারগণ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।