ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২৪ কার্তিক ১৪৩১ | ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কনটেন্ট ক্রিয়েটর জীবন আহমেদ নিলয়ের ব্যস্ততা

কনটেন্ট ক্রিয়েটর জীবন আহমেদ নিলয়ের ব্যস্ততা

ছবি: গ্লোবাল টিভি

শাহীন আলম, আশুলিয়া (ঢাকা): নিছক বিনোদনের উদ্দেশে ভিডিও তৈরি করেন জীবন আহমেদ নিলয়। ২০১৭ সাল থেকে ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ শুরু করেন তিনি। সেসব ভিডিওর মধ্যে রয়েছে ভ্লগ, নাটক, কৌতুক। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তার পোস্ট করা ‘মোবাইল চোর’ নাটকটি এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ৪২ লাখ ৯৯ হাজারবারের বেশি। ‘আজব কক্সবাজার ’ দুই সপ্তাহে দেখা হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। 

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে কনটেন্ট বানানোকে এখন অনেকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিচ্ছে। অথচ শুরুতে আব্বু-আম্মু এটাকে সহজভাবে নেননি। পরে তারাও বলতে শুরু করেন যে খারাপ নয়। 

তার অনুপ্রেরণা ছিল বিদেশি ইউটিউবার, আর হাতিয়ার ছিল নিজের একটি স্মার্টফোন । শুরুর দিকে লোকে সেসব ভিডিও সহজভাবে নিতে পারেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চিত্র বদলে গেছে। জীবন  বলেন, ‘যখন শুরু করি, তখন আমি কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু এখন অনেক সাবধানে ভিডিও বানাই। মাথায় রাখি অশ্রাব্য শব্দ বা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না, এ রকম কিছু যাতে ভিডিওতে না থাকে। কারণ, আমার মা-বাবা এসব ভিডিও দেখেন। লাখ লাখ মা-বাবা আমার ভিডিও দেখেন।’

জীবনের বাবা ঢাকার একজন সফল ব্যবসায়ি । প্রায় প্রতি রাতে খাবার টেবিলে জীবনের দাঁড়াতে হয় বাবার কাঠগড়ায়। জীবন  বলেন, বাবা আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক। এখনো তিনি আমার প্রতিটি ভিডিও দেখেন। প্রতিটি দৃশ্য ধরে ধরে সমালোচনা করেন। এটা করা ঠিক হয়নি, ওটা করলে ভালো হতো—এসব পরামর্শ দেন। 

টানা তিন বছর মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরির পর ২০২০ সালে একটি ক্যামেরা কেনেন জীবন। এখন তার ভিডিও এডিট করার সহকারী আছেন, নিজের আয়ের টাকায় নিয়েছেন অফিস। তিনি বলেন, ‘যখন থেকে রোজগার শুরু করলাম, বাবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া ছেড়ে দিলাম। আস্তে আস্তে আমার সাবস্ক্রাইবার বাড়তে শুরু করল। এরপর এই মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে জড়িয়ে যান জীবন। করেছেন, কিন্তু টেলিভিশন তাকে ততটা টানেনি। ইউটিউবকেই যেন বেশি ভালোবাসেন আফ্রিদি। তার ভাষায়, ‘ইউটিউব আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।’

সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া এত সহজ ছিল না। শুরুতে তার এলাকার মানুষজনই তার সাথে অনেক হাসি মশকরা করেছে কিন্তু যখন আস্তে আস্তে তাকে চেনা শুরু করলো তখন সবাই ফ্যামিলি সহ তাকে বাহবা দিচ্ছে। জীবন আহমেদ আরও বলেন তার ইউটিউব এবং অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটরে যাএা এত সহজ ছিল না। শুধুতার মা আর কিছু বন্ধু বান্ধব তার পাশে ছিল। তার মা তাকে চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে ক্যামেরা কিনে দেন। ইউটিউবে সে ক্যান্টেন বানিয়ে এখন সে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। 

ভবিষ্যতে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চান তিনি। পড়তে যেতে চান নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে, যেখানে পড়েছেন বলিউড তারকা রণবীর কাপুর। আর চান মা-বাবা তাকে নিয়ে গর্ব করুক।