ছবি: গ্লোবাল টিভি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে, বর্জ্য সম্পদে রূপান্তরিত হবে এবং পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে উঠবে।
মঙ্গলবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে চলমান ডিএনসিসির 'বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট' পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ পাওয়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনকে আমারা ৩০ একর ভূমি প্রস্তুত করে হস্তান্তর করেছি। জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কোম্পানি জানিয়েছে ভূমি বুঝে পাওয়ার পর প্রকল্প সম্পন্ন করতে তাদের দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে শুরু হবে বিদুৎ উৎপাদন। প্রতি ঘন্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এজন্য চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনকে প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রীডে। কিনে নেবে বিদুৎ বিভাগ।'
মেয়র বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে তোলা হবে হবে। এর ফলে বায়ু দূষণ রোধ হবে। বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। জমি অধিগ্রহণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, '২০০৮,২০১১ ও ২০১৩ সালে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা আলোর মুখ দেখতে পারি নাই। চীনা সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এই প্রকল্পে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। জায়গাটি ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে, তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত একটি টারবাইন চালু হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, স্মার্ট দেশ গঠনে বাংলাদেশের পাশে আছে চীন। চীন পুরো প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে। প্রথম পর্যায়ে ২৫ বছর প্রকল্পটির দ্বায়িত্ব থাকবে চীনের সিএমইসি।