ঢাকা, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১ | ২২ রমজান ১৪৪৬

মালয়েশিয়ায় মেহেরপুরের শতাধিক যুবকের মানবেতর জীবন

মালয়েশিয়ায় মেহেরপুরের শতাধিক যুবকের মানবেতর জীবন

গ্লোবাল টিভি ছবি

মেহেরপুর প্রতিনিধি: ভুয়া ভিসায় মালয়েশিয়া গিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে মেহেরপুরের শতাধিক যুবক। বাড়ি ফিরে আসার জন্য ফেসবুকে মেহেরপুরের প্রশাসনের কাছে আকুতি জানিয়েছে প্রতারিত প্রবাসীরা।

মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক যুবকের কেউ সহায়-সম্বল বিক্রি করে আবার কেউ ঋণ নিয়ে ভাগ্যর চাকা ফেরাতো দালালের মাধমে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে মালয়েশিয়া যায়। ৫ মাস আগে মালয়েশিয়ায় গেলেও আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) না পাওয়ায় কর্মহীন রয়েছে তারা। ঘরবন্দী অবস্থায় খাবার-পানি সংকটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে । এদিকে প্রতিদিন এসকল পরিবারের বাড়ির লোকজনকে ঋণের টাকা পরিষধের জন্য চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন পাওনাদাররা। প্রবাসে দালাল চক্রটি প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে বলে ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে জানাই ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। তাদের আর্তনাদের এই সকল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

মালয়েশিয়ায় আটকে থাকা কয়েকজন ভিডিওর মাধ্যমে জানান, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কেএনএফএইচ বালিকা বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান আব্দুল মাজেদ, হাড়াভাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ন্যাড়া, কাজীপুর এলাকার মুসা কলিম ও সুরুজ, বালিয়াঘাট গ্রামের আনিসুল হক মাস্টারের ছেলে শোভন এর মাধ্যমে ঢাকায় নাভিরা ও মুসা কলিম এন্টারপ্রাইজ নামের এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভালো কাজের স্বপ্ন দেখে মালয়েশিয়ায় গিয়েছে। গত ৩-৬ মাসেও দালাল চক্রের সদস্যরা কোন কাজ দিতে পারেনি তাদের। এখন তারা খাবার ও পানি না পেয়ে মানবতর জিবন যপন করছে। প্রতিবাদ করলেই নির্যাতন সহ  প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে প্রতারক চক্র। 

প্রতারিত প্রবাসীর পবিবারের লোকজনরা জানান, সহায়সম্বল বিক্রি করে ও বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন করে মালয়েশিয়া পাঠানো হয়। ৬ মাস হয়ে গেলেও কোন কাজ পাইনি তারা। একটি টাকাও দেশে পাঠাকে পারিনি কেউ। এদিকে প্রতিনিয়ত এনজিও থেকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। উভয় সংকটে দিশেহারা পরিবার গুলো।

এ ব্যাপারে দালাল চক্রের সাথে জড়িতদের বাড়িতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি, তারা সবাই ঘা ঢাকা দিয়েছে।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, আমরা প্রাইমারি ইনভেস্টিগেশন শুরু করেছি। এ বিষয়ে যতদ্রæত সম্ভব আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।