গ্লোবাল টিভি ছবি
আজ ২৮ মার্চ। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস। ১৯৭১ সালের এদিন রংপুরের বীর বাঙালিরা লাঠিসোঁটা, তীর-ধনুক, কোদাল, কাস্তে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ করেছিলেন। সেদিন পাক হানাদারদের গুলিতে শত শত মানুষ শহীদ হন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অবহেলা, অনাদর, অযত্নে এদের স্মৃতিগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শহীদদের পরিবার-পরিজন চরম দুঃখ-কষ্টে থাকলেও তাঁদের খোঁজ কেউ নেয় না।
২৫ মার্চ মধ্যরাতে সরাদেশের মত ক্যান্টনমেন্টের পাশের গ্রাম নিসবেতগঞ্জ, দামোদরপুরে পাকসেনারা গণহত্যা শুরু করে। ২৭ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সব বাঙালি সৈন্যকে আটক রেখে অস্ত্র জমা নিয়ে রাত ৮টার দিকে ইপিআর ক্যাম্পে হামলা চালায়।
এ খবর পেয়ে আশপাশের হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ তীরধনুক-বল্লম, দা-কুড়াল আর বাঁশের লাঠি হাতে ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নিসবেতগঞ্জ হাট ও তার আশপাশ এলাকাসহ ঘাঘট নদীর তীর ঘেঁষে জমায়েত হতে থাকে।
২৮মার্চ শুরু হয় সম্মুখ লড়াই। মিঠাপুকুর অঞ্চলের উপজাতীয় সাঁওতাল তীরন্দাজ বাহিনীরা এই আক্রমণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এমন সময় পাকসেনারা মেশিন গান দিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়তে থাকে। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের বুকের তাজা রক্তে নিসবেতগঞ্জ ও তার আশপাশ রক্তাক্ত হয়।