ঢাকা, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ | ১৫ শা‘বান ১৪৪৬

উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেয়া জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেয়া জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

গ্লোবাল টিভি ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসরায়েলের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেয়াও অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে তারা লড়াই করছে। আমি আশা করি, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, জনসংখ্যার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা একটি সমৃদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব। এ লক্ষ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অতি সম্প্রতি আমরা জনসংখ্যানীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নীতিতে ২০৪১ থেকে ২০৬১ পর্যন্ত যে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ অব্যাহত থাকবে তা কাজে লাগিয়ে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে কর্মদক্ষতা সৃষ্টি ও উন্নয়ন এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে জাপান ও বুলগেরিয়া সরকার এ সংলাপের আয়োজন করছে। এতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। ৪৮টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছেন। তারা জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন অর্জনে আগ্রহী।