ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি নুরুল হক নুরকে ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার। এসময় নুরের ছোট ভাইকেও গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন তিনি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মারিয়া আক্তার বলেন, গত শনিবার (২০ জুলাই) ভোর রাতে দরজা ভেঙে কিছু সাদা পোশাক ও কয়েকজন পুলিশ পোশাকে এসে ঘুমন্ত নুরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ডিবি কার্যালয়, র্যাব কার্যালয় ও হাতিরঝিল থানায় খোঁজ নিলে তারা কোনো তথ্য দেয়নি। নিরুপায় হয়ে আমি কোর্টে যাই। সেদিন আর কোর্টে তোলেনি। পরে জানতে পারলাম, একদিন পর কোর্টে তোলা হবে। গিয়ে যা দেখলাম তা কোনো মানুষ সহ্য করতে পারবে না। গ্রেপ্তারের পর থেকে তার উপর মন নির্যাতন করা হয়েছে যে, নুর নিজের পায়ে হেঁটে আদালতে আসতে পারেনি। পুলিশ সদস্যদের কাঁধে ভর করে আদালতে আসে। স্ত্রী হিসেবে এমন নির্যাতন কোনোভাবে সহ্য করার মত নয়। অপাশবিক নির্যাতনের পরও তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মারিয়া আক্তার বলেন, আমার অনুরোধ, সন্তানের জীবন থেকে বাবার স্নেহ যেন কেড়ে নেয়া না হয়। আমার সন্তানদের তো অধিকার আছে । এদেশে জন্ম নেয়াটাই আমাদের পাপ? আমি দাবি জানাই নুরকে আর যেন রিমান্ড নেয়া না হয়। তার চিকিৎসা ব্যবস্থা যেন করা হয়। প্রয়োজনে আমার স্বামীকে আমি রাজনীতি করতে দেব না। তবু অনুরোধ আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। এমন নির্যাতন হলে নূর বাঁচবে না।
তিনি আরও বলেন, যেদিন ঘুমন্ত নুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের মতো মনে হয়েছিল। আমার বড় সন্তান নুরের গলা ধরে ঘুমিয়ে ছিল। নুর উঠতে পারছিল না। তারা আমাকে এমনভাবে ধরেছে। মেয়েকে রেখে বাবাকে নিয়ে গেল। আমার মেয়ে ট্রমায় পড়ে গেছে।
নুরকে রিমান্ডে নিয়ে ইলেকট্রিক শক দেয়ার অভিযোগ করে মারিয়া আক্তার আরো বলেন, নুরের পা উপরে বেঁধে পেটানো হয়েছে। ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে। ইনজেকশন দেয়া হয়েছে, সেটি স্লো পয়জনিং কিনা আমার জানা নেই। অনুরোধ জানাই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে নুরের বাবা ইদ্রিস আলী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।