ঢাকা, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানির প্রতিবাদ শিল্পীসমাজের

হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানির প্রতিবাদ শিল্পীসমাজের

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানির প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন সংস্কৃতিকর্মীরা। পূর্বঘোষণামতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সকল হত্যার হিসাব ও বিচার করা, গুলি ও সহিংসতা বন্ধ, গণ-গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানানোর কথা কর্মসূচি ছিলো। তবে  মানিক মিয়া এভিনিউয়েতে পুলিশ তাদের দাঁড়াতে দেয়নি।

তবে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে  সংসদ ভবনের সামনে যাওয়ার পথে বাধা পাওয়ায়  খামারবাড়ি মোড় থেকে উপস্থিত শিল্পীরা ব্যানার হাতে দাঁড়ান ফার্মগেট সেজান পয়েন্টের সামনে। সেখানে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাষ্ট্রের প্রতি দাবি জানালেন- ভয়হীন, ন্যায্য ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ার, সব হত্যার বিচার করার এবং চলমান হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার আর হয়রানি বন্ধের।

‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে যুক্ত হওয়া এই সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা মামুনুর রশিদ মোশাররফ করিম, আজমেরী হক বাঁধন, সাবিলা নূর, আশফাক নিপুণ, নুরুল আলম আতিক, অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, শিবু কুমার শীল, রেদওয়ান রনি, জাকিয়া বারী মম, সোহেল মণ্ডল, সিয়াম আহমেদ প্রমুখ।

হত্যার বিচার এবং হত্যা বন্ধ করাসহ তারা সংহতি জানান শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতিও।

এই জোটের অন্যতম আয়োজক অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বললেন,  যে হত্যাকাণ্ড ঘটে গেলো এবং ঘটছে, সেটির বিচার কি আমি চাইবো না? যদি না চাই, তাহলে তো আমি এই রাষ্ট্রের কেউ না। অথবা বোধশূন্য অমানুষ। আমার মনে হয়েছে, এর প্রতিবাদ করা উচিত। না করলে কাল যখন আমার মেয়েটা গুলি খেয়ে মরে পড়ে থাকবে, তখন অন্য কেউ আমার পাশে দাঁড়াবে না। 

অনেকটা একই কথা ভিন্ন ভিন্ন সুরে বলেছেন উপস্থিত অন্য শিল্পীরাও। 

তারা বলেন, যে ন্যায্যতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদার অঙ্গীকার নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সেই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার নিয়েই আমরা রাজপথে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করেছি।