ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে থেকে ঢাকায় পৌঁছে অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য তরুণরা বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার যে বিজয় ও স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে, সেটা আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
এ সময়ে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহসী শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম শহীদ রংপুরের মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, শহীদ আবু সাঈদের জীবন দেয়ার পরেই দেশের সকল তরুণ রাজপথে দাঁড়িয়ে যায় এবং অনেক রক্তের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় নিয়ে ঘরে ফেরে। এখন আমাদেরকে আরো দৃঢ়তার সাথে সামেনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই ঐতিহাসিক বিজয়ের পরে দেশের বিভন্ন প্রতিষ্ঠানে যেসব হামলার ঘটনা ঘটছে, সেগুলো ষড়যন্ত্রেেরই অংশ। এসব আমাদের কাজ না। এসব বন্ধ করতে হবে। আমাকে কথা দিতে হবে, এসব বিশৃংখল ঘটনা আর ঘটবে না। আর তা যদি না হয়, তাহলে আমার প্রয়োজন নেই, আমি আমার কাজে থাকি। আর যদি আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন, তাহলে সবার কাঙ্ক্ষিত একটি সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আমরা আজ থেকেই কাজ শুরু করতে পারবো।
তিনি বলেন, একটা সরকারের কাজ দেশের মানুষকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেয়া, অথচ আমাদের এখানে একটা সরকার ছিলো, যেন নির্যাতন-নিপীড়নের যন্ত্র।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ১৫ মিনিটে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানসহ নৌ ও বাহিনীর প্রধানগণ। সেইসাথে তাকে স্বাগত জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, উবিনীগের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা আখতার এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।