ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আয়নাঘর থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি হয়ে বর্ণনা করেন আয়নাঘরের সেই লোমহর্ষক দিনগুলোর কথা। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেন তিনি।
দাবির মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস যেন জনগণের মাঝে তুলে ধরা হয়। জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। দেশের সংবিধান যেন নতুন ভাবে লেখা হয়। যারা দেশকে নতুনভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তাদের যেন সম্মানিত করা হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোনো রকম জরিপ ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধের শহিদেদের সংখ্যা প্রকাশ করেন। একটা যুদ্ধে কত মানুষ মারা গেলেন, তার কোনো সঠিক সংখ্যা জাতি এখনো জানে না।
শহিদের সংখ্যা নিয়ে একটি জরিপ হয়েছিল উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, একটা জরিপ হয়েছিল যেখানে ২ লাখ ৮৬ হাজার শহিদের সংখ্যা জানা গেলেও শেখ মুজিবুর রহমান ৩ লাখ বলতে গিয়ে ৩ মিলিয়ন বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে তা করেছিল ভারত। দুই বাংলাকে একত্র করার জন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী গত ৬ আগস্ট মুক্তি পান গুম অবস্থা থেকে।