ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ

৪ শিক্ষক অপসারণ দাবির আন্দোলনের নৈপথ্যে যা জানা গেলো

৪ শিক্ষক অপসারণ দাবির আন্দোলনের নৈপথ্যে যা জানা গেলো

গ্লোবাল টিভি ছবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চালানো আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী একজন ছাত্রনেতা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর পাওয়া গেছে। 

ইমন মুৎসুদ্দি মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেলেও সম্প্রতি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীদের সাথে অশুভ আচরণের কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিলো। কিন্তু তার এই বহিষ্কারাদেশ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন বলে জানা যায়।
 
জানা যায়, নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় এই ছাত্রলীগ নেতাকে তিনবার নোটিশ দিয়েছিলো মেডিকেল কলেজ প্রশাসন। কিন্তু নোটিশের তোয়াক্কা না করায় ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় তাকে উক্ত মেডিকেল কলেজ থেকে ২ বছরের বহিষ্কার আদেশ দেয়া হয়। সেই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কৌশলে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে অপসারণের আন্দোলনে নামেন তিনি। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে কটূক্তি করার প্রমাণও রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে অশ্রাব্য ও অকথ্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস বলেন, সে একজন ছাত্রলীগের পোস্টেড কর্মী। সে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করেছে। নেত্রীর বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করায় তাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি। না হয় আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এই ইমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্ত ক্যাম্পাসটাকে অশান্ত করে তুলেছে। সে নানান অনিয়মের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ায় সে এখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তার স্বার্থ্য হাসিল করেই যাচ্ছে।

সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থী ইমন উক্ত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইনের বাবা-মায়ের নাম ধরে গালি দিয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে গালির বিষয়ে স্বীকার করে। এরপরে ইমন মুসুদ্দিকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
  
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ইমন মুৎসুদ্দি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নানান কথা ছড়ানো হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমি যে পোস্ট করেছি- তা আমি ইতোমধ্যে ডিলিট করে দিয়েছি। আমি এক সময়ে় ছাত্রলীগ করতাম। কিন্তু এখন তো করি না।

 এদিকে বুধবার থেকে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে আগের নাম নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ পরিবর্তন করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা আগের সাইনবোর্ডটি নামিয়ে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।