ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১ | ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জয় বাংলা স্লোগান: বাগেরহাটের ডিসি ও সিভিল সার্জনের অপসারণ দাবি

জয় বাংলা স্লোগান: বাগেরহাটের ডিসি ও সিভিল সার্জনের অপসারণ দাবি

গ্লোবাল টিভি ছবি

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট : বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান ও সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সচেতন বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। দাবির পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ শাহেদ আলী রবি, সৈয়দ নাসির আহম্মেদ মালেক, মেহেবুবুল হক কিশোর, হাদিউজ্জামান হিরো, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান টুটুল, জেলা শ্রমিক  দলের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলন সরদার লিয়াকত আলী, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার ইভা, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম দীপ প্রমুখ।

কর্মসূচি থেকে জেলা প্রশাসককে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাগেরহাট ছেড়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

অন্যদিকে জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ হারুণ-অর-রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজনের নেতৃত্বে একই দাবিতে শহরের নূর মসজিদের মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। মিছিলকারীরা জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের অপসারণ এবং শাস্তির দাবি জানান।   

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে রায়ু মুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিভিল সার্জেনের অপসারণের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। ওই দিন রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃত্বে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, একটি সরকারি সভায় সিভিল সার্জন যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেসবের কোন ভিত্তি নেই।