ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ মাঘ ১৪৩১ | ১৭ রজব ১৪৪৬

অধ্যাপক আবু জাফর আর নেই

অধ্যাপক আবু জাফর আর নেই

ফাইল ছবি

প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবু জাফর (৮২) আর নেই। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ ছাড়াও অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আবু জাফর বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন তার সাবেক স্ত্রী।

আজ বাদ আছর জন্মস্থান কুষ্টিয়ায় তার দীর্য়দিনের কর্মস্থল সরকারী কলেজ মাঠে নামা েজানাজা শেষ পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

তিনি চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তার জন্ম কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে।

রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন আবু জাফর। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গানগুলো তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। তার লেখা ও সর করা ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ তাকে নিয়ে গিয়েছিল অনন্য উচ্চতায়। গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। পাশাপাশি ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’—গানগুলো এখনো শ্রোতাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

জীবনের এ পর্যায়ে এসে তিনি গানের ভুবন ছেড়ে কুরআন গবেষণা ও লেখালেখিতে মনোনিবিশ করেন। এর আগে তিনি লিখেছিলেন‘নতুন রাত্রি পুরনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) ইত্যাদি। শেষে লিখেছেন ‘মহানবীর মহাজীবন’, ‘তুমি পথ, প্রিয়তম নবী, তুমিই পাথেয়’সহ বেশ কয়েকটি বই। এই সময়ে আড়ালেই কেটেছে তার দিনগুলো। তার পাশে সব সময়ের জন্য ছিলেন এক মেয়ে ও তিন ছেলে।