ফাইল ছবি
ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের অল্পক্ষণ পরই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জানা যায়, ট্রাম্প শপথ নেয়ার কিছুক্ষণ পরই ওভাল অফিসে একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন এবং বাতিল করেছেন জো বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ।
আদেশে সই করার পর ট্রাম্প জনতার উদ্দেশ্যে সেটি তুলে ধরে দেখান। এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশেও সই করেন ট্রাম্প।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার ঠিক আগে ক্ষমতাবলে পরিবারের সদস্যসহ রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এসে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, ‘যে ক্ষমাগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলোকেও আমরা দ্রুত বাতিল করব।’
অর্থনৈতিক ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অংশ হিসেবে ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৭ সালে ক্যাপিটল ভবনের পাশে ন্যাশনাল মলে বিপুল আয়োজনে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বাদ সাধে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া। সে কারণেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে। ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে একই কারণে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।