ঢাকা, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৮ মাঘ ১৪৩১ | ১০ শা‘বান ১৪৪৬

কেরানীগঞ্জে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার

কেরানীগঞ্জে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার

ফাইল ছবি

আরিফ সম্রাট, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন অটোরিকশাচালক আমির আলী (৩৮) এবং অপরজন নির্মাণ শ্রমিক ইমরান (১৭)। 

আমির আলী ভোলা সদর থানার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন, পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুর ২টায় কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া শুটকিরটেক এলাকার রাস্তার পাশে এলোমেলোভাবে পড়ে থাকা স্যান্ডেল ও ছুরির কাভার দেখে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের ঘাসের মধ্যে আমির আলীর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, তার শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে মরদেহ শনাক্ত করেছেন।

একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় কালিন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগনা চিতিখোলার পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর থেকে নির্মাণ শ্রমিক ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নীলফামারীর জলঢাকার উত্তর বিরুল গ্রামের ফজল শেখের ছেলে ইমরান ভাগনা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে পাইলিং শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজ করার সময় তার ছিঁড়ে পাইলিংয়ের লোহার খাঁচা ইমরানের মাথার উপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বজনদের দাবি, ভবনটি কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করা হচ্ছিল। শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো সেফটি গিয়ার, বিশেষ করে হেলমেট, ছিল না। 

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাব আল হোসাইন জানান, আমির আলীর মৃত্যুকে একটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, ইমরানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং ভবনের নির্মাণ প্রক্রিয়ার আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।