সংগৃহীত ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা আছেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেনও- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। আমরা আশা করব, জনগণের যে প্রত্যাশা আছে, একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। সেটার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় বৈঠক করেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে যেগুলো উদ্বেগের বিষয় সেগুলো তুলে ধরেছি। বৃহত্তর দল হিসেবে আমাদের একটা দায়িত্ব ছিল সেটি পালন করেছি। সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো ঘটেছে- এগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ বাহিনীগুলোর সামনে ঘটনা ঘটেছে। এতে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি বা স্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে বিপন্ন হয়েছে। এসব প্রক্রিয়ার কারণে ফ্যাসিবাদকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, এগুলো প্রত্যাহারের জন্য দাবি করেছি। তারা এপ্রুভ করেছেন নৈতিকভাবে। আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান ব্যর্থতা হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। এ ব্যাপারে সরকার আমাদেরকে বলেছে- তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা সরকারপ্রধানকে বলেছি-এ ধরনের অভিযান আগে হয়েছিল। তবে কোনোভাবেই ইনোসেন্ট কোনো মানুষই যেন শিকার না হয়, এ বিষয়ে যেন কোনো সমস্যা তৈরি না হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আমরা কোনোভাবেই একমত হব না।আমরা খুব পরিষ্কার করে আগেও বলেছি, এখনো বলছি যে জাতীয় নির্বাচন আগে কোনো নির্বাচন হবে না।