ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

নারায়ণগঞ্জে অসহায় পরিবারের পোশে জেলা প্রশাসক

নারায়ণগঞ্জে অসহায় পরিবারের পোশে জেলা প্রশাসক

গ্লোবাল টিভি ছবি

মো.মনিরুল আলম, নারায়ণগঞ্জ :  নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার কোতালের বাগ এলাকার অসহায় গৃহবধূ বিথী আক্তার। তার স্বামী মো. কমল বেপারি পেশায় দিনমজুর। চার সদস্যের পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এমন পরিস্থিতে তাদের আদরের চার বছরের একমাত্র ছেলে সন্তান আজান ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার মাথার বাম পাশের হাড় বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। এ ছাড়া শিশু আজানের চোখের সাদা অংশ ফুলে বের হয়ে আসছে। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় শিশু আজানকে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, দুরারোগ্য এই রোগের চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। মা হিসেবে সন্তান আজানের দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া মেনে নিতে পারেনি অসহায় গৃহবধূ বিথী। 

বুধবার আজানের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ‘মানবিক ডিসি’ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া জাহিদুল ইসলাম মিয়ার কাছে। আবেদনের একদিনের মধ্যেই বিথীর আবেদনে সাড়া দিয়ে জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম। আগামী ঈদের নিজের পরিবারের নতুন পোশাক না কিনে সেই টাকা আজানের জন্য দেওয়ার আশ্বাসও দেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে  আজানের মা বীথি আক্তার জানান, প্রতিমাসে আজানের ওষুধ কিনতেই ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। এ ছাড়া তার মেয়ে রোজা ইসলামের বয়স ৫ বছর। তার জন্য শিশু খাদ্যের পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়। তার স্বামী বিভিন্ন গার্মেন্টসে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করেন কাজ থাকলে। অন্যদিন বেকার থাকেন। তাই তাদের পক্ষে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব না। ডিসি স্যার প্রাথমিকভাবে আমাকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। পরবর্তীতে ব্যাক্তিগতভাবেও সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে দ্রুত অপারেশনের ব্যবস্থাও করবেন বলে জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষের সেবা করার জন্যই প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলাম। আমি সব সময় চেষ্টা করি মানবিক সাহায্যের আবেদন দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করার।