ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

নরসিংদী গণহত্যায় অরিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে

নরসিংদী গণহত্যায় অরিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে

সংগৃহীত ছবি

মো.শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী: নরসিংদীতে গণহত্যা মামলার আসামী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ায় সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রথম কোনো বিসিএস কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হলো। 

প্রসিকিউশনের তথ্য বলছে, পুলিশকে সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। সোমবার নরসিংদীর গণহত্যার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাইফুলসহ একই অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, গুলির নির্দেশ দেয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীতে শহিদ হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। পুলিশের গুলিতে তাহমিদ নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গেলে আবার গুলি ছোঁড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন। জুলাই আন্দোলনে শুধু এই জেলাতেই শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পাশাপাশি হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। 

জুলাই গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ১৪১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। যাদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্টে বিভিন্ন পেশার আসামিদের চিত্র উঠে আসবে।