ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

চাঁদপুরে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন

চাঁদপুরে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন

গ্লোবাল টিভি ছবি

চাঁদপুর প্রতিনিধি : এ বছর চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ২০২৪-২৫ বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার ৭শ ৩৬ মে. টন। এর মধ্যে ধান হলো ৪ হাজার ৩শ ৭০ মে. টন এবং ৯ হাজার ৪শ ৬৬ মে. টন। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন মঙ্গলবার সকালে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

২৪ এপ্রিল ২০২৫ থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ক্রয় অব্যাহত থাকবে বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ সব ধান-চাল ক্রয়ে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছিল।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার জেলার ৫টি উপজেলা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে অথবা সরাসরি উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত কৃষক ও কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান এবং জেলার অনুমোদিত ১৩ জন মিলারের কাছ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করবে। ৩১ আগস্ট ২০২৫ ক্রয় করার সর্বশেষ তারিখ।

চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায় ‘সরকারি নির্দেশিত নিয়মে জেলা-উপজেলা কমিটি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান এবং নিবন্ধিত মিলারের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করে থাকে। ৮ উপজেলায় প্রতিটিতে কমিটি এবং চাঁদপুর জেলায় একটি জেলা কমিটি রয়েছে। উপজেলা কমিটি সরকারি নির্দেশনা মতে প্রতি বছরই ধান ও চাল সংগ্রহ করে থাকে ।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৯০ হাজার মে. টন চাল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে। চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়।

মেঘনা,ডাকাতিয়া, মেঘনা-ধনাগোদা ও পদ্মা নদী বিধৌত এ চাঁদপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। জেলার ৪টি উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন নদীভাঙ্গনগ্রস্থ,নদীবিধৌত। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা ধনাগোদা নামে দু’টি সেচ প্রকল্প রয়েছে।এ দুটির সেচ প্রকল্পের কারণে এই অঞ্চলগুলোতে প্রচুর ধানের আবাদ হয়।