আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার থেকে এই সংলাপ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তবে সংলাপের শুরুর দিকে কোনো কোন রাজনৈতিকগুলো থাকবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। ইতোমধ্যে ভোট প্রস্তুতির কাজ শেষ করে এনেছে। অংশীজনের মধ্যে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, নারী নেত্রী, গণমাধ্যমসহ নানা শ্রেণিপেশার সঙ্গে সংলাপ করেছে। শেষ ধাপে এসে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে সংস্থাটি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), আচরণবিধিসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়েই দলগুলোর সঙ্গে এ সংলাপ করা হচ্ছে।
ইসি সচিব বলেন, ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে। এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। কারা আসবে, কাদের আগে ডাকা হবে সেগুলো ঠিক করতে হবে। এ মাসের মধ্যে দলগুলোর সঙ্গে দলের সঙ্গে মতবিনিময় কার্যক্রমটা শেষ করতে চাই, যাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়।
বর্তমানে ৫৩টি নিবন্ধিত দল রয়েছে; এছাড়া আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও তিনটি দলের নিবন্ধন বাতিল রয়েছে। নতুন তিনটি দলের নিবন্ধন ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত হবে। এ সংলাপে অর্ধশতাধিক নিবন্ধিত দলকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হলেও কবে, কাকে ডাকা হবে তা ধাপে ধাপে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
বাগেরহাটের আসন পুনর্বহাল নিয়ে আদালতের আদেশের কপি এখনও নির্বাচন কমিশন হাতে পায়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা এখনও সার্টিফাইড কপি পাই নি। রায়ের কপি হাতে পেলে ইসি পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে কি হবে না- পরবর্তী করণীয় ঠিক হবে।
সীমানা পুননির্ধারণ বিষয়ে সংক্ষুব্ধদের প্রায় ৩০টির বেশি আবেদন আদালতে গড়িয়েছে। এসবের মীমাংসায় বিলম্ব ঘটলে তফসিলে প্রভাব নিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রভাব পড়তে পারে। দাবি-আপত্তি শেষে সংসদীয় আসনের পুননির্ধারিত চূড়ান্ত সীমানা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তবুও রায়ের পর্যবেক্ষণ না দেখে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
লাইভ টিভি