ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজধানীতে কূটনীতিকদের স্ত্রীদের ফ্যাশন শো শনিবার

রাজধানীতে কূটনীতিকদের স্ত্রীদের ফ্যাশন শো শনিবার

আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ঢাকাস্থ ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সান্দ্রা তাবাজারা। ছবি সংগৃহীত

যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা লাখো সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে রক্ষার জন্য প্রচুর আবেদন-নিবেদন জানানো হচ্ছে তখন বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করতে অভিনব এক উপায় নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বিদেশি বন্ধুরা।

শনিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীতে এক ফ্যাশন শো আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হবে।

ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাস, স্পাউসেস অব হেড অব মিশনস (এসএইচওএম) এবং ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ফ্যাশন শোতে মডেল হিসেবে থাকবেন বিভিন্ন মিশন প্রধানের জীবন সঙ্গীরা।

অনুষ্ঠানের স্পন্সর কসমস গ্রুপ, রিভাইভ, বসুন্ধরা গ্রুপ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা পেজথ্রি, বে ডেভলপমেন্টস লিমিটেড, বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফট ফাউন্ডেশন ও লা মেরিডিয়ান ঢাকা। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।

আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্যাশন শো শুরু হওয়ার আগে থাকছে সঙ্গীতানুষ্ঠান, যেখানে একটি আমেরিকান ব্যান্ড গান করবে।

এ বিষয়ে ঢাকাস্থ ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সান্দ্রা তাবাজারা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো প্রতিবন্ধী, পরিত্যক্ত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করা, যাদের আমাদের সাহায্য প্রয়োজন। আমরা তহবিল সংগ্রহ এবং তাদের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে চাই।’

সফলভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনেক স্বেচ্ছাসেবক তাদের সাথে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একসাথে কাজ করার জন্য আমাদের অনেক হাত রয়েছে। আমরা কিছু একটা করতে পারব।’

মাদার থেরেসার কাজ দ্বারা অনুপ্রাণিত সান্দ্রা বলেন, এটা একটা ধারণা যা এবছর শুরু হয়েছে এবং প্রত্যাশা আছে যে আগামী বছরগুলোতে তা চলমান থাকবে। ‘অন্যদেরও একই কাজ করতে আমরা অনুপ্রাণিত করতে চাই।’

বাংলাদেশি ডিজাইনারদের মান নিয়ে খুবই মুগ্ধ সান্দ্রা বলেন, ‘আমাকে অবশ্যই সিল্ক ও জামদানির কথা বলতেই হবে। যখন আমি পার্টিতে যাই তখন চমৎকার এসব শাড়ি দেখি। দেখে মনে হয় আমি নিজে ভালোভাবে পোশাক পরে আসিনি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মাঝে অনেক মিল রয়েছে। ‘আপনাদের অনেক বড় বড় শিল্পী, চিত্রশিল্পী ও বুননশিল্পী রয়েছে। সংস্কৃতিতে বাংলাদেশ অনেক সমৃদ্ধ। আমাদেরও এই সমৃদ্ধি রয়েছে।’

এদেশের বুননশিল্পী এবং জামদানি শাড়ির কারিগরদের সাহায্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কলকাতায় মাদার থেরেসার বাড়ির পাশাপাশি ঢাকায় তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিদর্শনের ঘটনা স্মরণ করে সান্দ্রা জানান, সেখান থেকেই তিনি আসলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে অনুপ্রাণিত হন। পরে বিষয়টি তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত ডিজাইনার মাহিন খান এবং রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্ত্রীদের জানালে তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন।

এমএস