ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মুন্সিগঞ্জে তরমুজ নিয়ে বিপাকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

মুন্সিগঞ্জে তরমুজ নিয়ে বিপাকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

গ্লোবাল টিভি ছবি

মো: রাজিবুল হাসান জুয়েল, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে প্রতিদিন কোটি টাকা বিক্রি হওয়া তরমুজ আড়তে এখন রাখার স্থান পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ফলে বাধ্য হয়ে ট্রলি ও ট্রলারের মধ্যে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা।

পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন আরতদার ও কৃষকরা। গত ৩ দিন ধরে বাজারে তরমুজের সরবারহ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর তরমুজ আড়তেও উঠছে প্রচুর তরমুজ।  আর তরমুজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আড়ৎগুলোতে যায়গার সংকুলান হচ্ছে না। এদিকে তরমুজের সরবারহ বাড়ায় গত ৩ দিনে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে দাম।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, ওই স্থানে ১১/১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তুপ। আড়ৎগুলোর মধ্যে তিল ধারণের স্থান নেই। আড়তের সামনে রয়েছে ১২টি ট্রাক ভর্তি তরমুজ পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ।  রাতে ট্রলার ও ট্রলি হতে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার খুব কম পাইকারই চোখে পড়েছে।

তরমুজ নিয়ে আসা একাধিক কৃষক ও পাইকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে সামান্য শিলা বৃষ্টি হয়েছে। শিলা বৃষ্টি হলে তরমুজ সাধারণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কমবেশি ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক ভয়ে তরমুজ তুলে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর তরমুজ উঠছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এ ব্যাপারে ওই স্থানের আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলা বৃষ্টির কারনে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসাথে আড়তে নিয়ে আসছে। যার কারনে আমরা আড়তে তরমুজের যায়গা দিতে পারছিনা। আমার এখানে ১২টি আড়তের মধ্যে প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।