জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ২২ বিচারকের মধ্যে ২১ জন শপথ নিয়েছেন। একজন অসুস্থ থাকায় তার শপথ পরে হবে বলে রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং শপথ গ্রহণকারী বিচারপতিদের স্বজনরা।
তারা হলেন— বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন,বিচারপতি মোঃ মনসুর আলম,বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা,বিচারপতি মোঃ যাবিদ হোসেন,বিচারপতি মুবিনা আসাফ,বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম,বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা,বিচারপতি মোঃ আবদুল মান্নান,বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী, বিচারপতি মোঃ শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মোঃ হামিদুর রহমান,বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথীকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন,বিচারপতি মোঃ তৌফিক ইনাম,বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ,বিচারপতি মোঃ সগীর হোসেন,বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী। এর মধ্যে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় শপথ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি; তার শপথ পরে হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান।
একই সময়ে নিয়োগ পাওয়া বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বয়স ৪৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাকে স্থায়ী করা হয়নি। পরবর্তীতে তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ২৩ জনকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২৩ জনের মধ্যে বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে দেবাশীষ রায় চৌধুরী ছিলেন।
২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ২৩ জনকে হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মধ্যে ২২ জনকে স্থায়ী নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।