ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম

সেনাবাহিনীকে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের পাশে থাকতে হবে: রাশেদ খান

সেনাবাহিনীকে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের পাশে থাকতে হবে: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী সঠিকভাবে কাজ করছে না। জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না। আমরা এখন শুধু সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছি। সেনাবাহিনীকে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের পাশে থাকতে হবে।  

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক্স-ফোর্সেস এসোসিয়েশন আয়োজিত নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতকরণে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা : সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল্লাহ খান সাইফের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রোকন উদ্দীন, আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম রাধা এবং সবুজ আন্দোলনের সভাপতি কাজী রেজাউল করিম প্রমুখ।

রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে পুরোপুরি বর্জন করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই তাদের কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারা যদি মাঠে নামে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত করা হচ্ছে। তারা এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়; তাদের একমাত্র লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করে আবার ‘এক-এগারো’–ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা।

নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং সচিব মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছিলাম- কোনোভাবেই যাতে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে সংলাপে আহ্বান না করা হয়। নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিস্ট দোসরদের সংলাপে আহ্বান করেননি। সেনাবাহিনী-পুলিশ-প্রশাসনে নিয়োগ হতে হবে শুধুই যোগ্যতার ভিত্তিতে- কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা পারিবারিক সম্পর্ক দেখে নয়। ফ্যাসিবাদ যাতে আর কখনো মাথা তুলতে না পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।