চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জামেয়া মাদানিয়া শুলকবহরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে ভোটকেন্দ্রটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এতিমখানাকে রাজনৈতিক ভিড় ও ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখা এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও পরীক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সহযোগিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ হারুন, শিক্ষা সচিব মাওলানা মহিউদ্দীন, মুফতি হাফিজুল্লাহ, মাওলানা তাহের, মাওলানা মুসা ও মাওলানা গিয়াস উদ্দীন।
মানববন্ধনে শুলকবহর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা হারুন বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পাঠদান পরিবেশ, হিফজ ও দাওরায়ে হাদিসসহ বিভিন্ন বিভাগের বার্ষিক পরীক্ষা এবং আবাসিক এতিম শিক্ষার্থীদের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে মাদরাসা ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মাদরাসার প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক, তাদের মধ্যে অনেকেই এতিম। ভোটকেন্দ্র হলে নির্বাচন শুরুর অন্তত তিনদিন আগে শিক্ষার্থীদের মাদরাসা ছাড়তে হবে। টানা তিন–চার দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে এতিম শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে? ফেব্রুয়ারি–মার্চে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া আকস্মিকভাবে মাদরাসাকে ভোটকেন্দ্র ঘোষণা করা উদ্দেশ্যমূলক বলেই মনে হচ্ছে। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন দ্রুতই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। ভোটের দিনে হাজারো মানুষের ভিড়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে প্রতিষ্ঠানজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, এর আগেও এখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবারও ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করা নির্বাচনে অসহযোগিতামূলক আচরণ। আশপাশে কোনো কেন্দ্র পাওয়া না যাওয়ায় এখানে কেন্দ্র করা হয়েছে। আশপাশে কেন্দ্র পাওয়া গেলে তাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।