ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত?

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত?

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে 'চিকেনস নেক' হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর ঘিরে সম্প্রতি ভারতের কিছু সামরিক তৎপরতার খবর নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। সীমান্তের কাছে আসাম ও উত্তর দিনাজপুরে দুটি আর্মি স্টেশন বা সেনা ঘাঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে ভারত। ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, শিলিগুড়ি করিডোরের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই সম্ভবত ভারতের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মূল উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে নতুন ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও এই সামরিক তৎপরতার পেছনে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। চিকেনস নেক তথা শিলিগুড়ি করিডোর ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে খুবই স্পর্শকাতর একটি এলাকা।

এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সকে সংযুক্ত করেছে। আবার এই এলাকায় একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। চীন এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের জন্য যে তৎপর রয়েছে, সেটিকে মোকাবিলাও ভারতের একটি বড় লক্ষ্য বলছেন সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারতের এই সামরিক তৎপরতা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন লালমনিরহাটে সীমান্তের ৬২ কিলোমিটার ভারতের দখলে চলে গেছে এমন একটি গুজব ছড়ানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

  • লালমনিরহাটে কী পরিস্থিতি

লালমনিরহাট জেলার সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে ৩৪৫ কিলোমিটার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লালমনিরহাটে সীমান্তের ৬২ কিলোমিটার ভারতের দখলে চলে গেছে এমন প্রচার করা হয়। ঘটনা কী তা জানতে লালমনিরহাট বিজিবির কর্মকর্তারা সরেজমিনে সীমান্তে পরিদর্শন করেন।  লালমনিরহাটের ৭৮ কিলোমিটার এবং কুড়িগ্রামে কিছু অংশ নিয়ে বিজিবি ব্যাটালিয়ন ১৫ এর আওতায় রয়েছে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা। 

১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, লালমনিরহাট সীমান্ত নিয়ে 'বিভ্রান্তিকর' তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। এটা আমার নজরে পড়েছে যে লালমনিরহাটেরে প্রায় ৬২ কিলোমিটার এলাকা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক দখল হয়ে আছে। এরকম একটি ফেব্রিকেটেড নিউজ আমাদের কাছে এসেছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই এটা সম্পূর্ণ একটা গুজব। এটার মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় জনমনে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। এই এলাকার প্রত্যেকটা মানুষ সাচ্ছন্দ্যে এলাকায় আছে, বিজিবি টহলে আছে। বিজিবি সরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং যৌথ টহলও চলছে বিজিবির।

ধরলা নদী ভারত-বাংলাদেশের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। লালমনিরহাট সীমান্তে মোগলহাট বিওপির কাছে এই নদী দুই দেশে বিভক্ত। মোগলহাটে ধরলা নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশের বাসিন্দারা সীমান্তের নির্দিষ্ট দূরত্বে মাঠে কাজ করা, নৌকা চালানোর মতো স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড করছে। মোগলহাট সীমান্ত চৌকিতে পাহারায় আছে সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা।

সীমান্ত এলাকার বাসীন্দারা জানান, জমি ভারতের দখলে চলে যাওয়ার মতো এ ধরনের কিছু লালমনিরহাট সীমান্তে ঘটেনি। একজন স্থানীয় মেম্বার বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। বানোয়াট কথা। সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসী জানান, সৈন্য সমাবেশ বা অনুপ্রবেশের মতো কোনো ঘটনার অস্তিত্ব নেই। তবে সীমান্তের কাছে যাদের বাড়িঘর ও জমিজমা আছে এবং মাঠে চাষাবাদ ও কাজকর্মে নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের অভিজ্ঞতা হলো–– ভারতীয় বিএসএফ বেশ কড়া পাহারা দিচ্ছে।

গত ৫ অগাস্টের পর থেকে লালমনিরহাট সীমান্তে বিএএসফ বাড়তি সতর্কতা দেখা যাচ্ছে, সীমান্তে বিএসএফএর টহল এবং জনবল বৃদ্ধির বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয়দের। শিল্পী বেগম নামের একজন জানান, আগে নিয়মিত সীমান্তের কাছে গেলেও এখন সেখানে যান না। বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে নিরাপত্তা টহল বাড়িয়েছে। আগে ৫/৬ জন টহল দিত, এখন ১৫/১৬ জন দেয়। এখন ঝুপড়িও (অস্থায়ী টহল চৌকি) বাড়াইছে। লোকও বাড়াইছে।

সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনাও থেমে নেই। গত ১১ই নভেম্বরে ভারতে অনুপ্রবেশের পর বিএসএফ গুলি চালিয়েছে যেখানে তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারত সীমান্তে বিএসএফর নজরদারি বৃদ্ধির বিষয়টি যেমন আছে, একই সঙ্গে শিলিগুড়ি করিডোরকে ঘিরে ভারতের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বছরের শুরুতে ভারতের তিন বাহিনীর সম্মিলিত একটি বড় ধরনের সামরিক মহড়া হয়েছে শিলিগুড়ি করিডোর এলাকায়।

  • সীমান্তের কাছে ভারত কী করছে

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অন্তত দুটি নতুন আর্মি স্টেশন বা সেনা ঘাঁটি তৈরি করছে। এগুলো হলো আসামের ধুবরি এবং উত্তর দিনাজপুরে চোপরা সেনা ঘাঁটি। এই জায়গা দুটি বাংলাদেশ সীমান্তের খুবই কাছাকাছি। ভারতের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল দীপঙ্কর ব্যানার্জী বলেছেন, এটি এক ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ। কৌশলগত শিলিগুড়ি করিডোর ভারতের জন্য স্পর্শকাতর একটি জায়গা। বর্ডারে বিএসএফ এরই দায়িত্ব, আর্মি ওখানে একেবারেই ডিপ্লয়েড নয়। এটা সাধারণ সময় আর্মির কোনো রেসপনসিবিলিটি নেই এখানে। তাদের কিছু এস্টাবলিশমেন্ট র‍্যাশনালাইজ করা হচ্ছে এখানে। এখানে অমিত শাহ সীমান্তে সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং চিকেনস নেক সেটারই একটা অংশ। ডোকলাম থেকে শিলিগুড়ি করিডোর ওখানটায় একটা সেনসিটিভ সিচ্যুয়েশন আছে বলে মনে করছে ভারত এবং "আমাদের যুক্তিসঙ্গত কারণে প্রস্তুত থাকতে হবে।

কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে এর যোগাযোগ আছে কি না এ প্রশ্নে দীপঙ্কর ব্যানার্জী বলেন, বিষয়টা সেরকম নয়। ভারতবর্ষের দিক থেকে একেবারে কোনো সম্পর্ক নাই", বরং এটা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, বিশেষ করে চীনের কথা মাথায় রেখে। ১৯৭১ এর আগে থেকেই যে লার্জ স্কেলে অনুপ্রবেশ হয়েছে এটা বাস্তবতা। ইন্ডিয়ার জন্য এটা ৩০/৩০ বছর ধরে এটা একটা সমস্যা ছিল, এখনো চলে যায়নি। সেটা আমাদের ভেবে রাখতে হবে।

  • বাংলাদেশে কী মূল্যায়ন

লালমনিরহাট বিজিবির অধিনায়ক বা সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমামের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, সীমান্তের কাছে ভারতীয় এই সেনা ঘাঁটিগুলো নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা কেমন। মেহেদী ইমাম বলছেন, এটার সাথে সীমান্তরক্ষী ফোর্স হিসেবে আমি আমার বর্ডারে এমন কোনো সমাবেশ দেখিনি। যেকারণে আমি উদ্বিগ্ন হবো বা আমাদের উদ্বেগের কথা জানাবো এখন পর্যন্ত সেরকম কিছু দেখিনি। সীমান্তে নির্দিষ্ট দূরত্বে তারা তাদের বেইজ করতেই পারে। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। শিলিগুড়ি করিডোরে শুধু বাংলাদেশের সাথে বর্ডার না, এখানে অন্যদেশের সাথেও সীমান্ত আছে। তারা তাদের প্রয়োজনে করতেই পারে। এটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত মুভমেন্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এটা প্রশ্নবিদ্ধ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত এটা তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনোকিছু যদি আমার বর্ডারে দেখি যেটা আমাদের সার্বভৌমত্ব বা বর্ডার রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে, বর্ডারের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এই নিয়মের বহির্ভূত কিছু হচ্ছে- তখন সেটা আমার উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যদি তারা কিছু করে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, ভারত খুব হিসেব নিকেশ করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে ঘাঁটির অবস্থান এবং কোন সময়ে করছে, অর্থাৎ টাইমিং–– দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তা, চীনকে মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে এক ধরনের হুমকি অনুভব করা। শিলিগুড়ি করিডোর সেভেন সিস্টার্সকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটার ইমপর্টেন্স টাইম রেলিভেন্স অনুযায়ী এখন আরো বেড়ে গেছে। তাৎপর্য আরো বেড়েছে। অন্যদিকে যদি জিও-স্ট্র্র্যাটিজিক জিনিসগুলো চিন্তা করি, যে চাইনিজ যে এক্সপানশন নীতিতে আছে একদিকে সিপ্যাক- চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর, এদিকে সিম্যাক-চায়না মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর করেছে। ফলে তার (চীন) যে এক ধরনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এটা যদি সে এইদিকে কানেক্ট করে ফেলে, তাহলে তার যে এই অঞ্চলে, সাউথ এশিয়াতে তার যে প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী যাকে আমরা বলি, তাকে কিন্তু সে দুর্বল করে ফেলতে পারে। এইটাকে কিন্তু ইন্ডিয়ার মাথায় রাখতেই হচ্ছে।

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ও পাকিস্তানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে যা ভারতের জন্য পছন্দের নয় এবং তারা এই যোগাযোগকে সন্দেহের চোখে দেখে বলে অনেকে মনে করেন। এছাড়া শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে লালমনিরহাট বিমানবন্দর ও তিস্তা প্রকল্পে চীনের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতিও ভারত পছন্দ করে না এমন বিশ্লেষণ জানাচ্ছেন নাঈম আশফাক চৌধুরী। তার মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, একইসঙ্গে কিছু প্রকল্প, বিশেষ করে তিস্তা ব্যারেজ ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে থাকতে পারে। আলোচনা হচ্ছে যে চীনকে পুরো তিস্তা প্রকল্প ১০০ বছরের চিন্তা করে দিতে পারে কি না, সেখানে শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে চীনের অবস্থানকে ভারত এক ধরনের 'থ্রেট' মনে করতে পারে। এটাও সীমান্তে তাদের সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর একটা কারণ হতে পারে। ভারতের সামরিক তৎপরতাকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে দেখেন না। তবে সীমান্তের কাছে এ সামরিক পদক্ষেপের সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য রয়েছে। ভারতের সেনাঘাঁটি তৈরি উদ্যোগকে সামরিক পরিভাষায় বাংলাদেশের জন্য গ্রে জোন ব্যাটল হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

এর অর্থ সরাসরি যুদ্ধ না করেও সামরিক মহড়া, অস্ত্র, সৈন্য সামন্ত হাজির করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা হবে যাতে প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়।  তিনি বলেন, এটাকে মনে হচ্ছে গ্রে জোন ব্যাটল ফর বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য এক ধরনের ঘাড়ের ওপর শ্বাস ফেলা, বিষয়টাকে তিনি ব্যাখ্যা করেন এভাবে–– ভারতের স্বার্থের বিপরিতে চলে যেতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরাও যেন হুমকি অনুভব করি। ৫ অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রয়েছে, এখনো নির্বাচিত সরকার আসেনি এবং আমাদের যে নিরাপত্তার যে অবস্থাটা আছে সেই অবস্থা থেকেও তারা কিছুটা থ্রেট ফিল করতে পারে। সব মিলিয়ে আমি এটাকে অস্বাভাবিক কোনো জিনিস দেখছি না। বাট বাংলাদেশ শুড ওয়ার্ক ভেরি কেয়ারফুলি। লাইক মিলিটারি ডিপ্লোমেসি, কানেকটিভিটি উইথ মিলিটারি টু মিলিটারি সেটা কন্টিনিউ করতে হবে।

৫ অগাস্ট পটপরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যুত্থানের পক্ষে রাজনৈতিক শক্তিগুলো ভারতবিরোধী একটি অবস্থান দেখা যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বক্তব্যে ভারতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক দীপঙ্কর অবশ্য বলছেন, বাংলাদেশকে সামরিক দিক থেকে ভারত কোনো হুমকি হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশ থেকে যে কোনোরকম একটা মিলিটারি থ্রেট হতে পারে এটা আমরা একসেপ্ট করি না।

বাস্তবতা হলো, ভারতের পশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত গণ্ডগোল চলে। পূর্বাঞ্চল সীমান্তে বাংলাদেশকে ভারত শত্রুজ্ঞান করেনি যার পেছনে সাহস যুগিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে কৌশলগত অবস্থান থেকে অন্য কেউ যদি ব্যবহারের সুযোগ নেয় সেটা ভারতের দুশ্চিন্তার জায়গা, বলছেন বিশ্লেষকরা।-বিবিসি বাংলা