ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম

প্রযুক্তিগতভাবে স্টিল বিল্ডিংয়ের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রযুক্তিগতভাবে স্টিল বিল্ডিংয়ের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, প্রযুক্তিগতভাবে স্টিল বিল্ডিংয়ের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের ২০ হাজার বা ৩০ হাজার কোটি টাকার যে শিল্পটা আছে, এটা থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টিল বিল্ডিংয়ের যে নির্মাণ বৈচিত্র্য, নির্মাণ শৈলী খুব ইনক্লুসিভ। যার শুধু একটাই সমস্যা, সেটা হচ্ছে অগ্নিকাণ্ড। কিন্তু বর্তমানে আগুন প্রতিরোধের জন্য অনেক নিয়ামক আছে। এখন বিভিন্ন মেটেরিয়াল আছে যেগুলো দিয়ে আমরা সহজেই অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ করতে পারি।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মেটাল এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী শনিবার (২২ নভেম্বর) মেটাল এক্সপোর পর্দা নামবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রাশেদ খান। অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ। বক্তব্য দেন স্টিলমার্ক বিল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজওয়ানুল মামুন।

আমাদের এত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ নির্ভরতা কেন—প্রশ্ন রেখে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা জানলাম আপনাদের সক্ষমতা প্রায় দুই মিলিয়ন টন। আমি যদি ধরে নেই এক মিলিয়ন টন আপনারা ব্যবহার করেন, সেটাকে দুইশ টাকা করে কেজি ধরলেও প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা হয়। এ ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আপনারা ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকার র- মেটেরিয়াল আমদানি করেন। তিন-চার হাজার কোটি টাকার অ্যাকচুয়াল ব্যবসা করেন। এ তিন-চার হাজার কোটি টাকার জন্য সবাই প্রতিযোগিতা করছেন। কেন আমরা বলছি না ১৫ হাজার কোটি টাকার স্টিল ইমপোর্ট হয়—এটা আমরা নিজেরা বানাব? আমাদের এ ২০ হাজার বা ৩০ হাজার কোটি টাকার যে শিল্পটা আছে, এটা থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যেমন বলছেন সরকার বিদেশ থেকে কেন এ ধরনের কাঠামো আমদানি করছে, তেমনি আপনারাও কেন র- মেটেরিয়াল সবকিছুই আমদানি করছেন—দুজনই দুইজনকে প্রশ্ন করতে হবে। পদ্মা ব্রিজের মতো স্ট্রাকচার আপনারা বানাতে পারবেন না—এটা আমি বিশ্বাস করি না। কেন পারবেন না? এটা কী এমন জটিল কাজ? আমি আশা করি আপনারা এবং সরকার নিজেরাই একটু চিন্তা করবেন কীভাবে আমাদের এ অর্থনৈতিক মূল্যমান—এ ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকার শিল্প—আমরা ৪-৫ হাজার কোটি টাকা ইন্টারনালি রিটার্ন করছি, বাকি পুরোটাই রয়ে গেছে। কীভাবে আমরা আমাদের এ সক্ষমতা কাজে লাগাব। আমার ধারণা, সবাই এক হয়ে কাজ করলে সম্ভব। আপনারা আপনাদের প্রয়োজনগুলো আমাকে অফিসিয়ালি জানাবেন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, ইনশাআল্লাহ।