যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, গতকাল পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১০টিরও বেশি গুলি তার গায়ে লেগেছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। পুলিশ প্রশাসনকে অবিলম্বে হত্যাকারীদের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গ্রেফতার করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ড কিন্তু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যারা নির্বাচন প্রলম্বিত করতে চায় কিংবা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা অনেক ধরনের কৌশলী কাজ করছে যেন বাংলাদেশে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হলে সেই পক্ষের লাভ, যারা ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল আয়োজিত ‘ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে যুবদলের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভা শেষে যুবদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কাকরাইল থেকে শুরু হয়ে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবদল সভাপতি বলেন, আমি আপনাদের একটি অনুরোধ করছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেটা বারবার বলছেন যে, জনগণকে পাশে রেখে, জনগণের পাশে থেকে, তাদের প্রাধান্য দিয়ে আমাদের রাজনীতি করতে হবে। নির্বাচনে আমাদের মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। এজন্য প্রার্থী যাকেই দেওয়া হয়েছে, যুবদলকে তার পক্ষে নির্বাচনি কাজ করতে হবে। এই নির্বাচনে কাজ করার বিভিন্ন উপায় এবং পদ্ধতি আছে।
মুন্না আরও বলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার যে পরিকল্পনা দীর্ঘদিন যাবৎ করছে, তারা কিন্তু এখনো কাছেই আছে। সুতরাং, নেতাকর্মীদের প্রতি আমার নির্দেশনা- দলীয় নির্দেশনা যেটাই হোক মেনে চলতে হবে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করা পর্যন্ত যুবদলের ২০২ জনকে আমরা শাস্তি দিয়েছি। কীভাবে করেছি? দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।