ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি-আইএসটির অডিটোরিয়ামে ২০২৪- ২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আইএসটির অডিটোরিয়ামে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং সভাপতি মহোদয় সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সজিবিশন অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আই.এস.টি’র পরিচালক (প্রশাসন) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. সালেহ্ মুহম্মদ রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসটি’র অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম.এ. মজিদ। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এস.এম. আমানুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: উজ্জ্বল হোসেন ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক তাসমী সুলতানা তমা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং আইএসটি’র পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত বিদ্যোৎসাহী সদস্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তফা আল মামুন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আবুদ্দারদা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব-এর ডিন অধ্যাপক ড. আশেক কবির চৌধুরী, সাবেক সচিব আবু সাঈদ চৌধুরী, ক্রাউন ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশিদ, আই.এস.টি’র ছাত্র উপদেষ্টা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরীন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাকির হোসেন।
বক্তব্য রাখেন আইএসটির অধ্যাপক রুনা রোখসানা খান, অধ্যাপক জিয়াউল হাসান, অধ্যাপক আশফাকুর রহমান, সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক লুৎফী হাবিবা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, ইসিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহফুজা ফেরদৌসী প্রমুখ। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আমানুল্লাহ বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আইএসটি’র প্রতিষ্ঠাতা ও আই.এস.টি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি এর সাবেক ডীন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিককে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. আবদুস সালাম এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। আইএসটি’র অত্যাধুনিক যুগোপযোগী সিলেবাস ও পড়াশুনার মানদন্ড দেখে আমি অবিভূত। সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সজিবিশন অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশন পরিদর্শন দেখে আমি আনন্দিত। আমি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছি কিন্তু কোথাও এরকম সুশৃঙ্খল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব দেখি নাই। এজন্য আইএসটি’র গভর্নিং বডি ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ধন্যবাদ জানাই। এই সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সজিবিশন অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশন জাতীয় বিশ্ববদ্যালয়ে আইএসটির অংশগ্রহণের মাধ্যমে আয়োজন করবো। আইএসটি থেকে গত জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং এই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ও আহত ছাত্রদের খোজ খবর নেন।