অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ট্রেড এবং পলিসি আলাদা করে দেখতে হবে। ভারত থেকে চাল না এনে ভিয়েতনাম থেকে আনতে গেলে আরও ১০টাকা বেশি লাগবে। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের সাথে সম্পর্ক খুব খারাপ হবে না। ভারতের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক ইস্যুতে কাজ হচ্ছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে আমার নিজের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘উই আর ট্রাইং হার্ড’।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া বাজারে আতপ চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরও আতপ চাল আনা হবে। বাইরে চালের দাম কিন্তু বাড়ছে। কারণ, চীন প্রচুর চাল কিনছে। চীনের চাহিদা বেশি। চীন মূলত ভিয়েতনাম থেকে কিনছে। এটা কিছুটা প্রভাব ফেলছে। তবু এবার আমাদের ৫০ হাজার টন (চালের দাম) গতবারের চেয়ে একটু কম। এটা আমাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির বিষয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু বক্তব্য আসে সেগুলো সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্য কোনো দেশের সাথে খারাপ সম্পর্ক হোক, সেটি আমরা কেউই চাই না। ভারত নিয়ে অনেকের বক্তব্য রেটোরিক। আমরা অবশ্যই ভারতের সাথে ভালো সম্পর্ক করতে চাই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভারতের সাথে সম্পর্ক বিষয়ে যেসব দেশ ভারতের সাথে সম্পৃক্ত আছে তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার কথা হচ্ছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৯০ হাজার টন টিএসপি সার আমরা মরক্কো থেকে নিয়ে আসছি। আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন সার আসবে। সারের দাম মোটামুটি ভালোই পাচ্ছি। এ ছাড়া আমরা ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আনব। আমরা এখন থেকেই রোজার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনেক রাইস ব্র্যান অয়েল আসবে, যা তুষ থেকে তৈরি হয়।