ঢাকা, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৮ মাঘ ১৪৩১ | ১০ শা‘বান ১৪৪৬

একক রোমান্টিক নাটক

খেলোয়ার

একক রোমান্টিক নাটক 

খেলোয়ার


রচনাঃফাতেমা এ্যানি
পরিচালনাঃতারেক রহমান


 ছেলেটা ডানপিঠে-জেদি,গল্পের নায়কের মতোই দুঃশীল, দুঃসাহসী ।মহল্লার মধ্যে সকলেই তাকে ভয় পায়। কিন্তু অন্যায় ভাবে কারো উপর অবিচার করে না বরঞ্চ অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই তার কাজ।তবে আরো একটা প্রিয় কাজ আছে, তা হল ক্রিকেট। ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগ তার ছোট বেলা হতেই।ছেলেটা মৃণাল।
 সুযোগ পেলেই মহল্লার রাস্তায় ছেলে-পেলে নিয়ে খেলতে নেমে যায়। এমনি এক বিকালে বাউন্ডারি বলে ছয় মেরে রাস্তার পাশের বাড়িটার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলল। এগুলো কোন ব্যাপার না তার কাছে,হরহামেশাই হয়।ছেলে-পেলে খেলতে গিয়ে একটু- আকটু ভাংচুর হবেই তাই মহল্লার লোকেরাও কিছু বলে না। কিন্তু আজ হল ব্যাতিক্রম,বাড়ি থেকে বল হাতে বেরিয়ে এল অপুর্ব সুন্দরী এক মেয়ে আর ইনিই আমাদের গল্পের নাইকা পূর্ণতা। অন্যান্য রোমান্টিক গল্পের মতন প্রথম দেখাতেই মৃণালের লাভ এট ফার্স সাইড হয়ে গেল। মেয়েটা কিন্তু রেগে আছে ভীষণ , আজকেই এ বাড়িতে এসে উঠেছে। জানালার পাশাপাশি শখের ফুলদানিটাও ভেঙ্গে গেছে। মেজাজ ধরে না রাখতে পেরে আচ্ছা মতন কথা শুনিয়ে দিল মৃণালকে। কিন্তু আজকে মৃণাল বুঝল কটু বাক্যও মধুর মতন ঝড়ে পড়তে পারে।অবাক হয়ে মেয়েটাকে দেখতে থাকল।অসাধারণ মেয়েটা। 
তারপর থেকে মাস্তান ছেলেটা হল রোমিও,মেয়েটার পিছে-পিছে ঘোরাই যেন তার কাজ।কিন্তু দুষ্টু ছেলেটা শান্ত ভাবে মেয়েটাকে ফলো করলে ত হত, সে প্রতিনিয়তই বিরক্ত করার একেকটা উপায় বের করত। 
প্রথম প্রথম মেয়েটা বিরক্ত হত কিন্তু ছেলেটার মিস্টি জ্বালাতন তার কাছে মধুর হয়ে উঠল। তবে বরাবরই মুখে বিরক্তির ছাপ রাখত। এটা মেয়েদের ভালোবাসার একটা কৌশল। প্রেমিক তুমি পাগলামি করো,কিন্তু দেখাবে  আমি পটছি না।এভাবেই চলতে পারত গল্পটা কিন্তু তা হয় না, ভালোবাসার গল্পে ভুল-বোঝাবুঝি না হলে ভালোবাসার পূর্ণতা পায় না।
 মৃনালে চ্যালারা পূর্ণতাকে একটা ছেলের সাথে দেখে ফেলে।মৃণালও মাথা গরম করে আগে পিছে না ভেবে ছেলেটাকে বেধোর পিটায়। যা ভাবা হয়েছিল তা কিন্তু নয়,ছেলেটা পূর্ণতার ছোট ভাই,অনেকদিন পর এসেছে বাড়িতে। ভাইয়ের গায়ে হাত দেওয়ায় পূর্ণতার মনে মৃনালের জন্য বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। 
 খুব বাজে ভাবে ছেলেটাকে দূরে ঠেলে দেয় সে। হয়ত মহল্লার প্রেম এভাবেই শুরু হয় আবার শেষ ও এভাবেই হতে পারত । কিন্তু আমাদের মৃণাল তার জীবনের প্রথম প্রেম এভাবে চলে যাবে তা সে মেনে নিতে পারছিল না। মেয়েটাকে ভূলে যাওয়া তারজন্য দুঃসাদ্ধ কাজ। সেই চিরপরিচিত মৃণাল মুহুর্তেই বদলে গেল।
 চঞ্চল,ডানপিঠে ছেলেটা অস্বাভাবিক শান্ত হয়ে গেল।
এভাবেই থেমে যেতে পারত গল্পটা কিন্তু আমাদের নাইকাও যে প্রেমে পড়ে গিয়েছিল তাই ত সে এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন মেনে নেয় নি।