ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম

ঢাবির জহুরুল হক হলে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ, নিয়ম না মানলে জরিমানা

ঢাবির জহুরুল হক হলে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ, নিয়ম না মানলে জরিমানা

হল প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল। নিয়ম অমান্য করলে শাস্তি হিসেবে থাকছে জরিমানা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে হল প্রশাসন। বিবৃতিতে হল প্রশাসন জানায়, হলের সুষ্ঠু, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ধূমপান ও মাদক সেবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়, হল প্রাঙ্গণে ধূমপান করতে দেখা গেলে সরকার প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন বা অন্য প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন এবং সংরক্ষণের প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে তার অভিভাবকের উপস্থতিতে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে অভিযোগ এসেছে, হল প্রাঙ্গণ বা ক্যান্টিনের সামনে অনেকে ধূমপান করে। এতে হলের স্বভাবিক পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি অধূমপায়ীদের জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই কারণে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়মটা জারি করা হয়েছে। এটাতো নতুন কিছু নয়। হঠাৎ করে এই নিয়ম চালুর কারণ হলো শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা। অনেকে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ধূমপান পছন্দ করতে পারে। কিন্তু তাতে অন্য কারো ক্ষতি না হোক, সে কারণেই এই উদ্যোগ।

এমন নিয়ম জারিতে হলে মব সৃষ্টি হতে পারে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি প্রকাশ্যে ধূমপান করে, সেটা হল প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। শিক্ষার্থী বা হল সংসদের কেউ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। কেউ যদি দেখে নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে, আমাদের জানাবে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

এর আগে ঢাবির এফ রহমান হলেও ধূমপান ও মাদক সেবনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হল প্রশাসন। তবে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জহুরুল হক হলের ২০১৯-২০ সেশনের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইদুল কাদের বলেন, দোকানে খেতে গিয়ে দেখি অনেকে পাশে বসে সিগারেট খাচ্ছে। এটা খুবই বিরক্ত লাগে। হল প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কারো সিগারেট খেতে ইচ্ছা করলে নিজ দায়িত্বে খাবে, যাতে কারো ক্ষতি না হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, হল প্রাঙ্গণ বলতে কী বোঝায় এটা নিয়ে বিবৃতিতে স্পষ্ট কিছু নেই। এই ইস্যু নিয়ে মব বা ঝামেলা তৈরি হতে পারে। আমার মনে হয় না, হলে কেউ সিগারেট খেয়ে কারো ক্ষতি করছে কিংবা অধূমপায়ীদের কাছে গিয়ে কেউ ধূমপান করে। এটুকু শালীনতা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই আছে। তবে এই নিয়ম করে অনেকটাই ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল হল প্রশাসন।