ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম

ছবি বিকৃতি, সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি

ছবি বিকৃতি, সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি

ছবি বিকৃত করায় সাইবার সুরক্ষা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে এই মামলাটি করেন। ডাকসুর সদস্যরা এসময় ঐ শিক্ষিকার সঙ্গে ছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া। জাকারিয়া এক ফেসবুক পোস্টে বলেন,  শেহরীন আমিন ভুইয়া ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি। উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা।  অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।  ডিবির সাইবার ইউনিট আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন পরবর্তীতে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী ছবি বা ভিডিও বিকৃত করাসহ যেকোনো সাইবার বুলিং এর স্বীকার হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা ব্যবস্থা নিবে।

সংবাদ সম্মেলনে শেহরীন আমিন ভুঁইয়া বলেন, এভাবে ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো। ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শেহরীন আমিন ভুঁইয়া (৩৪), পিতা. আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, এনআইডি নং-এজাহার দায়ের করতেছি যে, ১ নং বিবাদী- মুজতবা খন্দকার, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আমার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করে এবং ক্যাপশন দেয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি’।  বিবাদী নং ২, মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট, আমাকে ‘যৌন-কল্পনার রসদ’ আখ্যা দিয়ে তার নিজের আইডিতে একটি ফটোকার্ড শেয়ার দেন। এছাড়াও সেখানে আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়। বিবাদী নং ৩, নিরব হোসাইন (Nirob Hossain), শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ। ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ পোর্টালের একটি ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিবাদী নং ৪, আশফাক হোসাইন ইভান (Assfaque Hossain Evan) তার ফেসবুক পোস্টে আমার এডিটেড অশালীন ছবি পোস্ট করে। বিবাদী নং ৫, অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ক্রমাগত আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা হচ্ছে এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। গত ২ অক্টোবর বেলা অনুমান ১১.২৫ ঘটিকায় আমি শাহবাগ থানাধীন আমার অফিস কক্ষে অবস্থানকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনা দেখতে পাই। এভাবে ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।  উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করেছি। অতএব, উক্ত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।