ছবি : গ্লোবাল টিভি
আবু রায়হান সরকার, নোয়াখালী : আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের আওতায় নোয়াখালীতে শ্রেষ্ঠ সফল জননী নির্বাচিত হয়েছেন- সেতারা বেগম।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সেতারা বেগমসহ পাঁচজনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অন্যরা হলেন- হাসিনা ইয়াসমিন, সালমা সুলতানা, শিল্পী আক্তার ও শাহনাজ বেগম। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় তাঁদের সম্মাননা দেয়, জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
সেতারা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুরে। বাবা অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের মোস্তফা হায়দার চৌধুরী। মা মরহুমা হুরেননেসা। ১২ ভাই বোনের মধ্যে তিনি মেঝো। সেতারা বেগমের আট সন্তান সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ- চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র, মো. হারুনুর রশিদ- বিশিষ্ট শিল্পদ্যোক্তা গ্লোব ফার্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান, মো. মামুনুর রশিদ কিরণ- নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। এছাড়া শহিদ উদ্দিন আলমগীর, আহমেদ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম স্বপন সফল ব্যবসায়ী। কন্যা নাছিমা আক্তার গৃহিনী এবং রাশেদা আক্তার কানন ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বপন, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার।
শ্রেষ্ঠ সফল জননী সেতারা বেগমের পক্ষে সম্মাননা নেন তাঁর সন্তান চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বপন।
অনুষ্ঠানে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, সন্তানদের সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার ঋণ কখনো শোধ করা যায় না।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, মা পারেন সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। শিশুদের হাতেখড়ি হয় মায়েদের হাতেই। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকা অতুলনীয়।
এমএস