ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম

মইনের সেনাপ্রধান হওয়া নিয়ে যা বললেন আজমী

মইনের সেনাপ্রধান হওয়া নিয়ে যা বললেন আজমী

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমী বলেছেন, ‘কোনো এক অদৃশ্য কারণে জেনারেল মইন সেনাপ্রধান হন।’

শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা না জেনেই অনেক কিছু প্রচার করি, যা কাম্য নয়। অনেকেই বলেন- ২০০৫ সালে আমার (আজমী) সেনাপ্রধান হবার কথা ছিল। আমাকে না বানিয়ে জেনারেল মঈনকে বানানো হয়েছে। এটা শতভাগ বানোয়াট ও কল্পিত। সেনাবাহিনীতে যোগ্যতা ও দক্ষতার পাশাপাশি জ্যেষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়।’ 

তিনি লেখেন, ‘২০০৫ এ আমি কর্ণেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পাই। সে সময় আমার সেনাপ্রধান হবার কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। জেনারেল মঈন এর পরবর্তী তিন সেনাপ্রধান - জেনারেল মুবিন, জেনারেল ইকবাল করীম ভুইয়া এবং জেনারেল বেলাল, সবাই আমার সিনিয়র।’ 

‘যদি আমাকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত না করা হতো এবং যদি সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরণ করা না হতো, তাহলে হয়তো বা জেনারেল বেলালের পরে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী আমার নাম বিবেচনায় আসতো।’


আজমী বলেন, কারামুক্ত সাবেক ডিজি ডিজিএফআই জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব না দিয়ে জেনারেল ,ইনকে দেয়া হয়েছে বলে অনেকে পোস্ট/কমেন্ট দিচ্ছেন। এটাও শতভাগ ভুল। এই রেজ্জাকুল হায়দার বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৫ম শর্ট কোর্সের সঙ্গে ১৯৭৭ সালে কমিশন লাভ করেন। ২০০৫ সালে উনারও সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন পাওয়া চৌকস জেনারেল রেযাকুল হায়দার এর ২০০৫ এ সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। উনার ছবিসহ নাম কোনো কোনো পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছিল। তিনি জেনারেল মঈনের তিন বছর এবং জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারের ৬ বছর সিনিয়র। 

সর্বশেষ তিনি লেখেন, জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারের ছবি শীঘ্রই পোস্ট করার আশা রাখি।